1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির নৌ-ঘাঁটি নিয়ে সরব রাশিয়া

২৩ অক্টোবর ২০২৪

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে এবিষয়ে সমালোচনা করেছে। বাল্টিক সমুদ্রে নতুন নৌবাহিনীর ঘাঁটি নিয়ে অভিযোগ।

https://p.dw.com/p/4m77d
সিটিএফ বাল্টিক লোগো দেখছেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়াকে নিরাপত্তার বিপদ বলে মনে করছে ন্যাটো। ছবি: Kristina Kolodin/Bundeswehr/dpa/picture alliance

রাশিয়ায় আছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রাফ ল্যাম্বসডর্ফ। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ডেকে পাঠায়। অভিযোগ, বাল্টিক সাগরে জার্মানি নতুন নৌ-ঘাঁটি তৈরি করেছে। রাশিয়া তা মেনে নিচ্ছে না।

বস্তুত, জার্মান বন্দর রোস্টকে এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, জার্মানির সঙ্গে তাদের যে টু-প্লাস ফোর চুক্তি আছে, এই বন্দর সেই চুক্তিকে লঙ্ঘন করে। রাশিয়ার অভিযোগ, জার্মানির ওই বন্দর ন্যাটোকেও ব্যবহার করতে দেয়া হবে।

রাশিয়া বলেছে, ওয়াশিংটন, ব্রাসেলস এবং বার্লিন যেন মনে রাখে, সাবেক পূর্ব জার্মানিতে ন্যাটোর জন্য এই ধরনের ঘাঁটি তৈরি করা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ। এর কড়া প্রতিক্রিয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলি প্রস্তুত থাকতে বলেছে রাশিয়া

সোমবারই জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোস্টকে নতুন বন্দরের উদ্বোধন করেছেন। রাশিয়ার আগ্রাসনের সামনে এই বন্দর প্রতিরক্ষার নতুন মাত্রা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জার্মানি অবশ্য রাশিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার কড়া জবাব দিয়েছে। বলা হয়েছে, ওই বন্দর কোনোভাবেই টু প্লাস ফোর চুক্তি লঙঅঘন করে না। ন্যাটো ফোর্সে জার্মানির সেনার অংশগ্রহণ ওই চুক্তিকে লঙ্ঘন করে না।

জার্মানি পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনার সাহায্য নিচ্ছে। এর কড়া সমালোচনা করেছে জার্মানি।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই বাল্টিক সাগরের কৌশলগত অবস্থান গুরুত্ব পাচ্ছিল। ন্যাটোর হাতে অস্ত্র যাওয়ার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। উল্টো দিকে ন্যাটোর দাবি, এই রাস্তা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে রাশিয়ার গুপ্তচরেরা।

রাশিয়ারও গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আছে বাল্টিক সাগরের উপরে। একটি কালিনগ্রাদে এবং অন্যটি সেন্ট পিটার্সবার্গে।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, ডিপিএ)