1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে সেরা বেহালার শহরে

১৪ অক্টোবর ২০২২

অনেকেরই জানা নেই যে বিশ্বের অন্যতম সেরা বেহালাগুলি তৈরি হয় জার্মানির বাভেরিয়া রাজ্যের এক ছোট শহরে৷ তরুণ প্রজন্মও প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের সেই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/4IBJv
ছবি: DW

জার্মানির দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যের মিটেনভাল্ড শহরে তৈরি স্ট্রিং বাদ্যযন্ত্র গোটা বিশ্বে বিক্রি করা হয়৷ একটি বেহালা তৈরি করতে ১২০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়৷ কারণ, হাতেই সব খুঁটিনাটি কাজ করা হয়৷ আন্টন স্প্রেঙারের দোকান বা প্যোলমান ওয়ার্কশপ এ ক্ষেত্রে বেশ সুনাম অর্জন করেছে৷

বেহালা প্রস্তুতকারক হিসেবে ইয়ুলিয়া ক্লৎস লেওনহার্ট সংস্থায় কাজ করেন৷ আনাড়ি হোক বা পেশাদার, সব শিল্পীর জন্যই আলাদা করে সেখানে বেহালা তৈরি হয়৷ ইয়ুলিয়া বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি বাদ্যযন্ত্রের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ প্রত্যেক বেহালা প্রস্তুতকারকেরও নিজস্ব স্বাক্ষর রয়েছে৷ প্রত্যেকটি বাদ্যযন্ত্র দেখলেই বোঝা যায়, কে তৈরি করেছে, কে রং করেছে৷ একেবারে ভিন্ন দেখতে৷ কোনো দুটি বাদ্যযন্ত্রই একই রকম দেখতে হয় না৷’’

বয়স সবে ৩১ হলেও ইয়ুলিয়া ক্লৎস এই পেশায় যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত৷ কোনো এক সময়ে তিনি তাঁর সৎ বাবার ওয়ার্কশপের উত্তরাধিকারী হবেন৷ সেইসঙ্গে দীর্ঘ ঐতিহ্যেরও বাহক হবেন৷ প্রায় ১০০ বছর ধরে সংস্থাটি সক্রিয় রয়েছে৷

জার্মানির মিটেনভাল্ডে সেরা বেহালা তৈরি হয়

বর্তমানে সেখানে বছরে ৫০টি অনবদ্য বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা হয়৷ এক একটির দাম দেড় থেকে বিশ হাজার ইউরো৷ ইয়ুলিয়া ক্লৎসের সহকর্মী আংগেলিকা ইয়াইস প্রত্যেকটি বেহালা বাজিয়ে পরীক্ষা করেন৷ তারপরই সেগুলি নানা মহাদেশে বিক্রি করা হয়৷ ইয়ুলিয়া মনে করেন, ‘‘প্রত্যেকেই নিজস্ব কোনো বৈশিষ্ট্য, নিজস্ব হস্তাক্ষর রেখে যেতে চান৷ বাদ্যযন্ত্রের উপর খুঁটিনাটী কাজ, ফিডলের আকার, এফ হোল ইত্যাদি৷ কোন কাঠ ব্যবহার করা হবে, সেটাও ঠিক করতে হয়৷ নিজের তৈরি বেহালা গোটা বিশ্বে বাজানো হবে, ভাবলে অবশ্যই ভালো লাগে৷’’

১৭৫০ সালে তৈরি একটি বেহালাও মিটেনভাল্ড থেকে এসেছে৷ কারণ বাভেরিয়া রাজ্যের ছোট এই জায়গাটিতে বহু শতাব্দী ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে৷ ১৬৮৪ সালে মাটিয়াস ক্লৎস নামের এক বেহালা প্রস্তুতকারক সেই ধারা চালু করেন৷ ইয়ুলিয়া ক্লৎস বলেন, ‘‘আমরা ৩৫০ বছর পরেও সেই ঐতিহ্য অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে চলেছি৷ আমাদের উত্তরসূরীরাও আগামী শতাব্দীগুলিতে সেই ধারা বহন করে যাবে বলে আশা রাখি৷’’

বহু দশক ধরে বাভেরিয়ার অপূর্ব নিসর্গ থেকে বাদ্যযন্ত্রগুলি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে৷

ইয়ুলিয়া ক্লৎসের মতো তরুণ প্রজন্মের বেহালা প্রস্তুতকারকরা মিটেনভাল্ডের সেই ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন৷

ইয়েন্স ফন লার্খার/এসবি

সংগীতশিল্পীদের স্বর্গ মার্কনয়কিয়ের্শেন