জার্মানিতে বই পড়া শিখাচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান
জার্মানিতে বইয়ের পড়া বুঝতে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরই অসুবিধা হয়৷ তাই লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ে অল্পবয়সেই তাদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে৷তাদের সাহায্য করতে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে একটি প্রতিষ্ঠান৷
বইয়ের বিষয়বস্তু বোঝাই আসল
সহজভাবে শিশুদের বই পড়া ও ভালোভাবে বইয়ের পড়ার অর্থ বুঝতে সাহায্য করছে জার্মানির অলাভজনক সংস্থা ‘মেন্টর’৷ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্গারেট শাফ বলেন, ‘‘বই কেবল পড়লেই হয় না, বইয়ে লেখা তথ্য ও বইয়ের বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোধগম্য হওয়াই হলো বই পড়ার মূল লক্ষ্য৷’’
যেভাবে শুরু
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মেন্টর’৷ তখন জার্মানির হানোফারের বই বিক্রেতা অটো স্টেন্ডলার লক্ষ্য করেন যে, অনেক শিশু স্কুলের বই ভালোভাবে পড়তে পারে না৷ তখন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মিলে তাঁদের সাথে পড়ার জন্য দুটি শিশুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সেটাই ছিল মেন্টর প্রতিষ্ঠানের শুরু৷ বর্তমানে শিশুদের পড়ায় সহায়তা করতে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ জন ‘মেন্টর’ বা শিক্ষক দেশ জুড়ে কাজ করছেন৷
প্রতিষ্ঠাটির দায়িত্ব অনেক
মেন্টরের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে৷ কারণ, ১৯১৭ সালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানির ১০ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের এক পঞ্চমাংশেরই বই পড়া ও বোঝায় দুর্বলতা রয়েছে৷ এ কারণে জার্মানি আন্তর্জাতিক ব়্যঙ্কিংয়ে অনেক নীচে নেমে গেছে৷
জার্মানিতে শিশুদের বুঝে বই পড়ায় উন্নতি জরুরি
জার্মানি ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ব়্যঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে ছিল জার্মানি৷ কিন্তু ১৫ বছর পরে ২১ নম্বরে নেমে গেছে৷ অন্যদিকে লাটভিয়া, হাঙ্গেরি বা লিথুয়ানিয়ায় শিশুরা নিজেদের দেশে আরো বেশি উৎসাহ পেয়ে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ব়্যঙ্কিংয়ে অনেক ওপরে উঠে গেছে৷ এর ফলে জার্মানির শিশুদের রিডিং ‘পড়া’ ভালো করা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে৷
প্রতিষ্ঠানটি যা করে
তবে মেন্টর প্রতিষ্ঠান গ্রুপ করে শিশুদের পড়া শেখায় না৷ তারা শুধুমাত্র একটি সময়ে একজন ছাত্রকেই পড়তে সাহায্য করে৷ তাদের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিশুদের নিয়মিত অর্থ বুঝে বই পড়ার চেষ্টা করা৷
প্রতি পাঁচজনের একজন শিশুই বই পড়ায় দুর্বল
জার্মানিতে সন্তানের লেখাপড়ার বিষয়টি এখনো পারিবারিক ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে৷