জার্মান প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোন্ গুণ নাগরিকদের কাম্য
২৯ জুন ২০১০কে হবেন পরবর্তী জার্মান প্রেসিডেন্ট ? চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কোয়ালিশনের মনোনীত প্রার্থী হলেন লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিক ক্রিশ্টিয়ান ভুল্ফ৷ বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজ দলের প্রার্থী সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির বিরুদ্ধবাদী ইওয়াখিম গাউক৷ আর এক বিরোধী দল ডি লিংকেও প্রার্থী দিয়েছে প্রতীকী অর্থে৷
একজন প্রেসিডেন্টের কোন্ ধরণের গুণ থাকা প্রয়োজন ? প্রশ্ন করা হয়েছিল সাধারণ জার্মান নাগরিকদের৷ উত্তর এসেছিল, ‘তাঁর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা থাকতে হবে, দেশকে, জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার ক্যারিশমা থাকতে হবে৷ সাধারণ মানুষদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা থাকতে হবে, দেশের আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ওয়াকেবহাল হতে হবে'৷
বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি৷ বন শহরের এক স্কুল ছাত্রী জানালো, ‘‘প্রেসিডেন্টকে যে কোন রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে থাকতে হবে৷ কারণ তিনি মূলত আমাদের মত মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ তাঁকে অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ হতে হবে৷''
তবে শুধু এসবেই সন্তুষ্ট নন এই মহিলা৷ তিনি চান আরো কিছু, তিনি বললেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্টকে অত্যন্ত হৃদয়বান একজন মানুষ হতে হবে৷ সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে৷ আমাদের প্রেসিডেন্ট আমাদের বুঝবেন – এধরণের একজনকেই আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাই৷''
বেশিরভাগই ছাত্র-ছাত্রীই মনে করে জার্মান প্রেসিডেন্টকে অত্যন্ত হাসিখুশি একজন মানুষ হতে হবে৷ তবে প্রবীণ একজন জানালেন, বিদেশে জার্মানি এবং জার্মান জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন – তেমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাই৷
বৃদ্ধ জানান, ‘‘ আমি মনে করি এমন একজনের প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত যিনি প্রজ্ঞার অধিকারী৷ যিনি সাধারণ মানুষদের খুব কাছে আসতে পারেন৷ বিদেশেও জার্মানি এবং জার্মানদের সম্মান রক্ষা করতে সক্ষম৷ চাকচিক্য আমাদের প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন নেই৷ আমরা দেখেছি সুইডেনে রাজকুমারীর বিয়েতে প্রবীণরাও বেশ উৎফুল্ল হয়েছিলেন, আনন্দে মেতেছিলেন৷ অনেকেই বলেছিল জার্মানিতে এসব একেবারেই নেই৷ আমার মনে হয়না জার্মানিতে এসবের প্রয়োজন আছে৷ আমরা অন্যরকম৷ আমাদের প্রয়োজন এমন একজনকে যিনি সঠিকভাবে, সফলভাবে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন৷''
যাঁদের এই প্রত্যাশা তাঁদের সরাসরি ভোটে অবশ্য জার্মান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননা৷ সংসদের নিম্ন কক্ষের ৬২২ জন সদস্য এবং রাজ্যগুলোর পাঠানো সমান সংখ্যক নির্বাচক নিয়ে একটি ফেডারেল কনভেনশনের ভোটে নির্বাচিত হবেন হর্স্ট ক্যোয়েলারের উত্তরসূরি৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক