1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান কোটিপতি আডল্ফ ম্যার্কলে এর আত্মহত্যা

হোসাইন আব্দুল হাই৮ জানুয়ারি ২০০৯

ভুল বিনিয়োগের ফলে বড় ধরনের ক্ষতির শোকে আত্ম বিসর্জন দিলেন জার্মান ধনকুবের আডল্ফ ম্যার্কলে৷ সোমবার দক্ষিন জার্মানির উলম শহরে নিজ বাড়ির কাছে একটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭৪ বছর বয়সী এ জার্মান শিল্পপতি আত্মহত্যা করেন৷

https://p.dw.com/p/GUJ3
আডল্ফ ম্যার্কলেছবি: picture-alliance/ dpa

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সাম্প্রতিক বলি হলেন আডল্ফ ম্যার্কলে৷ এ জার্মান কোটিপতি সোমবার বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি৷ সন্ধ্যায় রেললাইনের ধারে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়৷

গত অক্টোবরে ইউরোপের বৃহত্তম গাড়ী তৈরির প্রতিষ্ঠান ফোক্সভাগেন-এর শেয়ার কিনে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন৷ এ শেয়ার ব্যবসায় ম্যার্কলের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয় বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন৷

২০০৮ সালে মার্কিন ফোর্বস ম্যাগাজিন কর্তৃক নির্বাচিত বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় মার্কলের স্থান ছিল ৯৪তম৷ তিনি তাঁর জীবদ্দশায় এক লক্ষ কর্মীর বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন৷ ৩০ এর দশকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারী কারখানা থেকে তিনি বহুজাতিক ঔষধ কারখানা, সিমেন্ট কারখানা, চিনি শোধনাগার ও স্কিইং এলাকায় ব্যবহার উপেযাগী বিশেষধরনের গাড়ী তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন৷ ফোর্বস ম্যাগাজিন সম্প্রতি মার্কলেকে জার্মানির ৫ম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে৷ তাঁর সম্পদের পরিমান ছিল প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার৷

ম্যার্কলে পূর্ব জার্মানির ড্রেসডেন-এ ১৯৩৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন৷ চার সন্তানের জনক ম্যার্কলে দক্ষিন-পশ্চিম জার্মানির বাডেন-ভুর্টেমবার্গ রাজ্যে বাস করতেন৷ তাঁর শখ ছিল স্কিইং ‍এবং পর্বতারোহন৷ বাডেন-ভুর্টেমবার্গ রাজ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে তিনি ২০০৫ সালে জার্মান ফেডারেল ক্রস অফ মেরিট পদক লাভ করেন৷

শেয়ার ব্যবসায় ক্ষতির পর ম্যার্কলে প্রায় ৩০টি ঋণদাতা ব্যাংকের কাছে সহায়তার জন্য চেষ্টা করে৷ মৃত্যুর একদিন পরে তার ক্ষতিগ্রস্থ সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে ব্যাংক এগিয়ে এসেছে৷ অথচ দুদিন আগে এব্যাপারে সাড়া পেলেও হয়তো ম্যার্কলে এভাবে জীবন বিসর্জন দিতেন না৷ তবে ব্যাংকের সাথে চুক্তি অনুসারে তার ঔষধ কারখানা রাৎসিওফার্ম বিক্রি করতে হতে পারে যেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মী রয়েছে৷