1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান অর্থনীতিকে করোনা-মুক্ত করতে সরকারি প্যাকেজ

২৩ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাসের প্রসার রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপের পর জার্মানির সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৭৫ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/3Zuea
ছবি: Reuters/M. Kappeler

করোনা ভাইরাসের প্রসার রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপের পর জার্মানির সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৭৫ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷

বহু বছর ধরে নতুন করে সরকারি ঋণ না নিয়ে উদ্বৃত্ত বাজেট পেশ করে গেছেন জার্মানির একের পর এক অর্থমন্ত্রী৷ কিন্তু করোনা ভাইরাসের থাবা সেই গর্ব ছিনিয়ে নিলো৷ সংকটের সময়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকার ১৫,৬০০ কোটি ইউরোর ঋণ নেবার সিদ্ধান্ত নিলো৷ সাহায্য তহবিলসহ একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে জার্মানির মন্ত্রিসভা৷ জার্মানির ইতিহাসে এর আগে এত বড় অঙ্কের সরকারি সহায়তা দেখা যায় নি৷ শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অবিশ্বাস্য গতিতে কার্যকর করতে বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষ ও শুক্রবার উচ্চকক্ষে ভোটাভুটি হবে৷

করোনা সংকটের ফলে বিপর্যস্ত প্রায় সব মহলই এই অর্থনৈতিক সহায়তার ফলে উপকৃত হবে বলে সরকার দাবি করছে৷ যেমন ছোট আকারের কোম্পানি থেকে শুরু করে স্বনির্ভর ব্যক্তিরা কমপক্ষে তিন মাসের জন্য ১৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত সরাসরি ভর্তুকি পাবেন৷ বড় কোম্পানিগুলি এক বিশেষ তহবিল থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে৷ এমনকি জরুরি প্রয়োজনে সরকার সরাসরি কোম্পানির আংশিক মালিকানা নিতে এগিয়ে যাবে৷ আপাতত অর্থের সংকট মেটাতে সরকারের পুনর্গঠন ব্যাংক চটজলদি সহায়তা দিতে পারবে৷ সংকটের কারণে কর্মী ছাঁটাই এড়াতেও সরকার সরাসরি সহায়তা করবে৷

সাধারণ মানুষের সমস্যা কাটাতেও সরকার কিছু ঘোষণা করেছে৷ যেমন এক জরুরি আইনের বলে আয়ের অভাবে বাসাভাড়া মেটাতে না পারলেও মালিক ভাড়াটেদের তাড়াতে পারবে না৷

সরাসরি অর্থনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো চালু রাখতেও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য সরাসরি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা দেওয়া হবে৷ এই দুঃসময়ে হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে এই সব পদক্ষেপ স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর চাপ কমাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷

সার্বিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ তবে রোব্যার্ট কখ ইনস্টিটিউট সরকারি বিধিনিয়ম কার্যকর করার উপর আরও জোর দিচ্ছে৷ দুইয়ের বেশি মানুষের সমাবেশ ও অন্যান্য নিয়মভঙ্গ বন্ধ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)