জামিয়ার পাশে গোটা পৃথিবী
২০ ডিসেম্বর ২০১৯জামিয়া, আলিগড়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ ও ছাত্ররা। জামিয়ায় পুলিশি আচরণের নিন্দা করে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দশ হাজার শিক্ষাবিদ ও ছাত্র৷ তার মধ্যে আছেন নোয়াম চমস্কি, জুডিথ বাটলার, রোমিলা থাপার, নিবেদিতা মেনন৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'নতুন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া এবং উত্তর প্রদেশে আলিগড় মুসিলম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে পুলিশি বাড়াবাড়ি হয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷' বিবৃতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বলা হয়েছে, 'ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষতার যে কথা বলা হয়েছে, এই আইন তার বিরোধী৷'
শিক্ষাবিদ ও ছাত্ররা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, 'আমরা জামিয়া ও আলিগড়ের ছাত্র, শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের পাশে আছি৷ পুলিশ যে আচরণ করেছে তা ভয়াবহ৷ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সব নাগরিকের আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্ত চিন্তার জায়গা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের প্রবেশ ও তাণ্ডব গণতান্ত্রিক সমাজের মূল কাঠামোয় আঘাত করেছে৷'
দেশে-বিদেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এই প্রতিবাদ বিজেপিকে স্বাভাবিবকভাবে চাপের মধ্যে রেখেছে৷ চাপ কাটাতে তারাও পাল্টা প্রচারে নেমেছে৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টুইট করে বলেছেন, 'দুনিয়ার কোনও দেশই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে সংরক্ষণ দেয় না৷ কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি বিদেশি অনুপ্রবেশকারীর পক্ষে৷ তাই তারা এর বিরোধিতা করছে৷' আবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলছেন, নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার দেশভাগ করলেন৷ ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের প্রমাণ এর আগে কখনও দিতে হয়নি৷
তবে বিজেপি মহলেও যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা হল, প্রতিক্রিয়া এতটা ব্য়াপক হবে, বিশেষ করে দেশজুড়ে ছাত্রছাত্রীরা যে এভাবে রাস্তায় নেমে নাছোড় প্রতিবাদ জানাবে, তা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি৷ তাদের ধারণা ছিল, অল্প কিছু জায়গায় বিক্ষোভ হবে, তা কড়াহাতে সামাল দিলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে৷ এভাবে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার বিক্ষোভ চলতে থাকবে, তাতে দলিত সহ হিন্দুরাও সামিল হবেন, তা আন্দাজ করতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছিলেন৷
জিএইচ/এসজি(দ্য কুইন্ট)