জাদু ছাড়াই অভিনব হাতসাফাই
২০ আগস্ট ২০১৮পাট্রিক ক্যার্ন যাকে বলে স্কিল স্পোর্টস ক্রীড়াবিদ৷ আঙুলের ফাঁকে তিনি কিছু পেলে তা সহজে দেখাই যায় না৷ হাতই তাঁর মূলধন৷ দক্ষতার সঙ্গে নিখুঁত আঙুল সঞ্চালন তাঁর শক্তি৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা কিছুটা আমার স্বভাবের মধ্যেই পড়ে৷ যে ক্রীড়াই হোক না কেন, কিছু ছুঁলে বা নতুন কিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে আমি খুবই উচ্চাকাঙ্খী হয়ে উঠি৷ সঙ্গে সঙ্গে পরখ করে সবার সেরা হয়ে উঠতে চাই৷''
তাঁর অন্যতম প্রিয় কাজ হলো রুবিক্স কিউব সমাধান করা৷ ৬টি রং, ৫৪টি অংশ এবং প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার কোটিভাবে ঘোরানোর সুযোগ৷ পাট্রিক মাত্র ১৩ সেকেন্ডে রং মেলাতে পারেন৷ চোখ বাঁধা থাকলে আড়াই মিনিট সময় লাগে৷
২০১৭ সালে তিনি পানির নীচে রুবিক্স কিউব সমাধানের রেকর্ড ভেঙেছেন৷ দু'মিনিটে ৬টি কিউবের রং মিলিয়েছেন৷ পাট্রিক বলেন, ‘‘আমি ধাপে ধাপে রুবিক্স কিউব মেলাই৷ সবার আগে নীচের স্তর, তারপর মাঝের ও শেষে উপরের স্তর৷ প্রত্যেকটি পদক্ষেপের পরিণতি রয়েছে৷ সেগুলি মুখস্থ করা যায় অথবা ইন্টারনেটে দেখে নেওয়া যায়৷ এক ঘণ্টার মধ্যেই সত্যি এই কায়দা শেখা সম্ভব৷''
রুবিক্স কিউব সমাধানের রেকর্ড করেই তিনি ক্ষান্ত হন নি৷ তিনি স্পোর্টস স্ট্যাকিং-এর ক্ষেত্রে ৪ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন৷ কারণ তিনি শুধু কাপ নয়, ছক্কারও স্তূপ তৈরি করেন৷ এই প্রক্রিয়ার নাম ‘ডাইস স্ট্যাকিং'৷ এর পেছনে কোনো জাদু নেই, চাই পদার্থবিদ্যার জ্ঞান৷ পাট্রিক ক্যার্ন বলেন, ‘‘কাপের মধ্যে ছক্কা ঢোকাতে অথবা উপরে আনতে আমাদের অপকেন্দ্র সৃষ্টি করতে হবে৷ বাঁকানো কাপ কিউবের উপর দিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ছক্কা দিয়ে তা করার সময় বর্ণচ্ছটা সৃষ্টি হয়৷ ঠিকমতো সাজাতে পারলে আমি এক টাওয়ার তৈরি করতে পারি৷''
তিনি নিত্যনতুন কৌশল সৃষ্টি করে চলেছেন৷ কঠোর অনুশীলন করতে হয়৷ হাতে চারটি টাওয়ার, মাঝে শুধু তাস৷ কিন্তু আঙুলের ধাক্কায় তাস ছিটকে ফেলার প্রক্রিয়া কাজ করছে না৷ অনেক অনুশীলনের পর শেষ পর্যন্ত সাফল্য এলো৷
ইয়ুডিট স্ট্রুংক/এসবি