জাতীয় সংগীতের বিশ্ব রেকর্ড
৯ এপ্রিল ২০১৪
মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর৷ আর ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস৷ বিজয় দিবসে বিশ্বের সর্ববৃহত্ মানব পতাকা – জাতীয় পতাকা তৈরি করে একবার, আর স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...' গানটি গেয়ে আরেকবার বিশ্ব রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ৷
২৬শে মার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তায় লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার ১৩ দিন পর এই স্বীকৃতি পাওয়া গেল৷ ঐ দিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢোকার সময় স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক গণনা অনুসারে লোক হয়েছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন৷ এতেই গত বছরের ৬ই মে ভারতে সাহারা গ্রুপের আয়োজনে এক লাখ ২২ হাজার লোকের একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ডটি ভেঙে নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়৷
কিন্তু গণনার বাইরেও আরো অনেক মানুষ এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নেন সেদিন৷ প্যারেড গ্রাউন্ড এবং আশপাশ এলাকায় ৩ লাখ লোক সমবেত হয়েছিলেন বলে জানান আয়োজকরা৷ এছাড়া প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সুর মেলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তারাও৷
এই লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের জন্য চালানো হয় ব্যাপক প্রচারণা৷ শিরোনাম ছিল ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা'৷ এর জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্থ নেয়ায় বিতর্কও দেখা দেয়৷ পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ ফেরত দেয়া হয়৷ এই অনুষ্ঠানে অর্থ খরচের স্বচ্ছতা নিয়েও চলছে বিতর্ক৷ অভিযোগ আছে আয়োজক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাঁর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই অধিকাংশ কাজ করে ব্যবসা নিয়েছেন৷ এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিও হচ্ছে৷
৪৪তম স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা শুধু রেকর্ডের জন্য নয়, স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জ্বীবীত এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করাও ছিল উদ্দেশ্য৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘এই আয়োজনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য জাতীয় ঐক্য৷'
এদিকে এই অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এটা বাংলাদেশের আরেকটি অর্জন৷ লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বাংলাদেশ যে রেকর্ড গড়লো, তা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করবে৷''