জাতীয় শোক দিবস পালন
১৬ আগস্ট ২০১২রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান জানান, দিনটি শুরু হয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে৷ জার্মানি সফররত পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সেসময় উপস্থিত ছিলেন৷ তিনিই পতাকা অর্ধনমিতকরণের কাজটি করেন৷ এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়৷
বিকেলে দিনটি স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তাতে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছাড়াও অংশ নেন জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা৷ এর আগে প্রবাসীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷
আলোচনায় বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উঠে আসে৷ এছাড়া তাঁকে হারিয়ে বাংলাদেশ যে কতটা পিছিয়ে পড়েছে, সেটাও আলোচিত হয়৷
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে৷ গত ৪০ বছরে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল সেগুলো সরিয়ে সামনে এগোচ্ছে দেশ৷ এর মাধ্যমে একদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরি হবে৷ আর ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার যে লক্ষ্য - তা পূরণ হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আলোচকরা৷
রাষ্ট্রদূত মান্নান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হঠকারিতামূলক আচরণের কারণে প্রাণ দিতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের৷ আলোচনা সভা শেষে বার্লিনে বসবাসরত বাঙালি মাওলানা সিরাজি দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ