জলবায়ু রক্ষায় ধর্মীয় নেতারা
১২ এপ্রিল ২০১৫এভাবেই ধর্মীয় নেতারা জলবায়ু রক্ষায় কাজ করছেন৷ এক হিসেব বলছে, বিশ্বের ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ নিজেদের ধর্মপ্রাণ মনে করেন এবং তাঁরা জীবনযাপনে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন৷ ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন ধর্মের নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
মার্কিন নৃতাত্ত্বিক জেমস পিপলস ও গ্যারিক বালে-র লেখা একটি বইতে বলা হয়েছে, ‘‘তাঁরা (ধর্মীয় নেতারা) বিশ্ব সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে প্রভাবিত করেন, তাদের জীবনযাপনের পথ বলে দেন৷'' বিয়ে, জন্ম, মৃত্যু, দ্বন্দ্বের সময় কী করা উচিত সে ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন ধর্মীয় নেতারা৷ ফলে অনুসারীদের উপর বিশেষ প্রভাব থাকে তাঁদের৷ এটাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ধর্মীয় নেতাই আজকাল অনুসারীদের ‘জলবায়ু যোদ্ধা' হতে উৎসাহ দিচ্ছেন৷
২০০৯ সালে সারা বিশ্বের প্রায় ৩০টির মতো ধর্মীয় গোষ্ঠী ‘অনেক স্বর্গ, একটাই পৃথিবী' শীর্ষক একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল৷ সেখানে পরিবেশ রক্ষায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছিল৷ যেমন বায়ু দূষণ কমাতে চীনের বৌদ্ধ ও ‘তাওয়িজম' ধর্মের নেতারা মানুষপ্রতি আগরবাতি জ্বালানোর সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথা বলেন৷ অন্যদিকে, খ্রিষ্টান ও শিখ সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁদের উপাসনালয়ের ছাদে বেশি করে সৌর প্যানেল বসানোর ঘোষণা দেন৷
এরপর ২০১০ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন ধর্মের নেতারা একটি চুক্তিতে সই করেন৷ এর আওতায় তাঁরা বয়ানে নিয়মিতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরার অঙ্গীকার করেন৷ এছাড়া ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে পরিবেশ রক্ষা এবং মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক নিয়ে যা বলা আছে তা উল্লেখ করার অঙ্গীকারও করেন ধর্মীয় নেতারা৷ অনুসারীদের পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের পরামর্শ দেয়ার লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছিল চুক্তিতে৷