1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে শস্য উৎপাদনে

২০ এপ্রিল ২০০৯

গবেষকরা আশংকা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে শস্য উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে যাবে৷ এর ফলে ঐ অঞ্চলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে৷

https://p.dw.com/p/Hady
ছবি: picture alliance/dpa

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলের কিছু অংশে ভয়াবহ বন্যা আবার অন্য অংশে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচন্ড খরা বিরাজ করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ এমনকি কিছু অংশে জমির উর্বরতা কমে গিয়ে শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে৷ ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেড়ে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য৷

দক্ষিণ আফ্রিকার বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সিএসআইআর) এর গবেষক কন্সটানসিয়া মাসভোতো বলেন, মোটের ওপর আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ তিনি বলেন, তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৮০ সালের মধ্যে ঐ অঞ্চলের কিছু এলাকায় শস্য উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে এবং কিছু অংশ কৃষির জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়বে৷ তাঁদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে এবং মোজাম্বিক এর কৃষিপ্রধান অঞ্চল বেশি ক্ষতির শিকার হবে৷ মাসভোতো বলেন, দারিদ্র্যের কারণে ঐ অঞ্চলের ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তাঁর মতে, ঐ অঞ্চলে শস্য হানি, গবাদি-পশুর রোগ-বালাই বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবিকার অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে৷

Dossier Internationale Menschenrechte - Kinder Hunger
শষ্য উৎপাদন কমে গেলে শিশুরা পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেছবি: AP

প্রসঙ্গত, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল খাদ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানতই কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানির উপর নির্ভরশীল৷ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এ বছরের শুরুতেই সতর্ক করে দিয়েছে, যে এপ্রিলের শেষ নাগাদ জিম্বাবোয়েসহ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়বে৷ কেননা ঐ অঞ্চলে মানুষ মানবিক সংকট এবং তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে৷ ভয়াবহ বন্যার কারণে জাম্বিয়া এবং মোজাম্বিক সরকারকে ইতিমধ্যে বন্যাপীড়িত জনগণের চাহিদা পূরণে খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে৷

গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার আশংকা প্রকাশ করে, যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে সেখানে ভুট্টা উৎপাদন ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে৷ উল্লেখ্য, কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খুব বেশি নির্ভরশীলতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ঐ মহাদেশে কার্বন নির্গমনে সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে৷ ঐ অঞ্চলের পশ্চিম অংশ ক্রমান্বয়ে শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে, পূর্ব অংশে ভয়াবহ ঝড়-ঝঞ্ঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক