মধ্যপ্রাচ্য সফরে ম্যার্কেল
২১ জুন ২০১৮বৃহস্পতিবার শরণার্থী সংকটসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রীয় শীর্ষ নেতাদের সাথে দেখা করতে দু'দিনব্যাপী জর্ডান এবং লেবানন সফর শুরু করেন ম্যার্কেল৷
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির সথে তাঁর এ সফরে সাক্ষাতের কথা রয়েছে৷ শিক্ষা, বিনিয়োগ ও গবেষণা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শরণার্থী সংকটই প্রাধান্য পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
সিরিয়ার যুদ্ধ এবং অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে জর্ডান এবং লেবাননে লাখ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে৷ নিজ দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে দু'টি দেশই সর্বোচ্চসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, লেবাননে প্রতি ছ'জনের মধ্যে একজন সিরিয়ার শরণার্থী এবং জর্ডানে প্রতি ১১ জনে একজন৷ এর অর্থ দাঁড়ায় লেবাননে এখন সিরিয়ার শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখের মধ্যে৷ আর গত বছরের হিসাব অনুযায়ী জর্ডানে শরণার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ৷
জর্ডানে শরণার্থীরা বড় শিবিরে একসাথে বসবাস করলেও লেবাননের চিত্র ভিন্ন৷ লেবাননে শরণার্থী থাকছেন বিচ্ছিন্নভাবে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে৷ জার্মানির গ্রিন পার্টি সমর্থিত হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশনের বৈরুত শাখা প্রধান বেনটে শেলার বলেন, ‘‘শরণার্থীরা লেবাননে অগোছালোভাবে বসবাস করছেন৷ বেশিরভাগ শরণার্থীই বহনযোগ্য তাঁবুর নীচে রাত পার করছেন অথবা কোনো পরিত্যক্ত ভবন বা যেখানে জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই থাকছেন৷ তাদের নিরাপত্তা খুব সামান্যই৷’’
শরণার্থীদের সমস্যাটি জর্ডানে কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, লেবাননে এটি নিয়মতান্ত্রিক নয়৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লেবানন-জর্ডানে সীমান্তের শরণার্থী শিবিরগুলোর অবস্থা ‘বীভৎস’ মন্তব্য করেছে৷
সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবানন ও জর্ডানের শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করার ক্ষেত্রে জার্মানির অবস্থান অ্যামেরিকার পরেই৷ ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জর্ডানকে মোট ১০৮ কোটি ইউরো এবং লেবাননকে ১২০ কোটি ইউরো সহায়তা দিয়েছে জার্মানি৷
আর এ সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশটি খরচ হয়েছে শরণার্থী শিশুদের শিক্ষাদানে৷
নিকোলাস মার্টিন/এইচআই