জমজমাট বাণিজ্য মেলা
গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা৷ এই মেলার জন্য এক বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন নগরবাসী৷ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণে এবারের মেলাও জমে উঠেছে৷
চলবে ২৫ দিন
সাধারণত বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১ জানুয়ারি এবং শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি৷ কখনো ক্রেতা সাধারণের দাবির মুখে ১০ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত বাড়ানো হয়৷ এবার নির্বাচনের কারণে শুরু হয়েছে ৯ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি৷ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা৷
মেলায় ৫৫০ স্টল!
এবারের মেলায় সব মিলিয়ে ৫৫০টি স্টল থাকছে৷ এর মধ্যে রয়েছে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত স্টল ২০, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৯, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৬টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৯টি, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি৷
মেলায় মেট্রোরেল !
গতবছর মেলায় প্রবেশদ্বার ছিল পদ্মা সেতুর আদলে৷ এবার মেলার প্রবেশদ্বার মেট্রোরেলের থিমে করা হয়েছে৷ প্রবেশের মুখেই মেট্রোওয়ে বা ফ্লাইওভারের ওপরে সবুজ রঙের ট্রেন৷ দর্শনার্থীরা ভীষণ পছন্দ করেছেন এই ট্রেন৷ মেলায় প্রবেশের মুখে বা বাইরে ছবি তোলার ভিড় জমেছে৷
বিদেশি স্টল ২১৪টি
এবারের মেলায় ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে৷ এর মধ্যে প্রিমিয়ার স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি৷ ভারত, পাকিস্তান, চীন, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, অ্যামেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও হংকং-এর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে এই মেলায়৷
নানা আয়োজন
মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য খোলামেলা জায়গা রয়েছে৷ মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবনের আদলে ইকোপার্ক করা হয়েছে৷ আরো রয়েছে মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক ও খাবারের দোকান৷
কী পাবেন মেলায়?
কী পাবেন না মেলায়, সে প্রশ্নটাই করা উচিত৷ গৃহস্থালী ও জীবন যাপনের সব উপকরণ মেলায় পাওয়া যাবে৷ রয়েছে তৈরি পোশাক পণ্য, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য৷ আরো থাকছে তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য, ইলেকট্রিক, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ ও ফার্নিচার সামগ্রী৷
বেড়ানোর জায়গা
সবাই যে কেনাকাটা করতেই আসেন তা নয়৷ মেলায় ঘুরতে আসেন অনেক পরিবার৷ ইকোপার্ক, শিশুপার্ক ও রেস্তোরাঁয় বেশ ভালো সময় কাটে পরিবারের সবাইকে নিয়ে৷
ছাড়ে পণ্য
মেলায় প্রধান আকর্ষণ থাকে ছাড়ে পণ্য কেনা৷ মেলা উপলক্ষে নতুন নতুন ধরনের পণ্য বাজারজাত করার পাশাপাশি দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যপক ছাড় দেয়৷ এই ছাড় শুধু মেলা মাঠে নয়, ঐ প্রতিষ্ঠানের সারা দেশের আউটলেটে পাওয়া যায়৷
ডিজিটাল ইনফো বুথ
বাণিজ্যমেলায় এবার স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি)৷ এর মাধ্যমে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন অতি সহজে খুঁজে বের করতে পারেন৷
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
মেলায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন৷ এছাড়া থাকছে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যমেরা৷