জঙ্গি হামলার কারণে বাংলাদেশ ছাড়বে না পোশাক ব্র্যান্ড
২১ জুলাই ২০১৬‘ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি' বিষয়ক অ্যাকর্ডটি গঠন করা হয় ২০১৩ সালে, ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে কমপক্ষে এগারোশো মানুষের মৃত্যুর পর৷ ভবনটিতে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা ছিল আর নিহতদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক শ্রমিক৷
ইন্ডিটেক্স, এইচ অ্যান্ড অ্যামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জন্য কাজ করা অ্যাকর্ডটির নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েস জানান, অ্যাকর্ড তৈরির পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে৷ ১,৬০০ কারখানায় শক্ত করা বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুর ৬৫ শতাংশ ইতোমধ্যে সমাধান করা গেছে৷
ঢাকা থেকে স্কাইপে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েস বলেন, ‘‘অনেক ব্র্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো সরবরাহকারী দেশ৷ ফলে (সাম্প্রতিক গুলশান হামলার পরও) তারা উৎপাদনের হার এবং ধরণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে৷''
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের আশি শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে৷ চল্লিশ লাখের মতো মানুষের জীবিকার উৎস এই খাত৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান৷
গুলশানে জঙ্গি হামলার পর ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক খাতের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল৷ তবে ওয়েস জানিয়েছেন, সেই ঘটনার পর কিছু ব্র্যান্ড তাদের বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বটে, কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা শীঘ্রই উঠে যেতে পারে, কেননা, বাংলাদেশ সরকার বিদেশিদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা এবং ভ্রমণকালে প্রহরীর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে৷
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ডটি ২০১৮ সাল অবধি কাজ করার কথা৷ তবে রব ওয়েস আশা করছেন, সেই সময়ের পরও অ্যাকর্ডটি চালু রাখা হবে, কেননা, বিভিন্ন কারখানার নিরাপত্তার মান নিশ্চিতকরণে এখনো অনেক কাজ করার বাকি৷
এআই / এসিবি (রয়টার্স)