ছুটিতে যাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল
২৩ জুলাই ২০০৮জার্মানির বর্তমান জোট সরকার আগামী নভেম্বরে তার তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে৷ এই সরকার আসার পর থেকে এখনো পর্যন্ত জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল৷ এমনকি পররাষ্ট্র বিষয়েও জার্মানি আন্তর্জাতিক মহলে একটি জায়গা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে৷ কাজেই এই জোট সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ করার সমূহ সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, যে ২০০৮ তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এসময় দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে৷ ২০০৫-এর পরবর্তি সময় থেকে প্রায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ নতুন মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয়েছে৷
এইভাবেই মাত্র ১০০ মিনিটে সাংবাদিকদের প্রায় ৫০-টি প্রশ্নের উত্তর দেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে আসন্ন মার্কিন নির্বাচন প্রসঙ্গ৷ মার্কিন সেনেটর বারাক ওবামা সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জয়ী হন না কেন, তিনি তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করবেন৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অন্যতম সদস্য দেশ হিসেবে জার্মানি ইতিমধ্যেই একটি নীতি অবস্থান গ্রহণ করেছে৷ তাই বল্কান সমস্যার মতো সমস্যাগুলি মোকাবিলায় জার্মানির অবদান আজ অস্বীকার করা যায় না৷ বলেন তিনি৷
১০ বছর ধরে পলাতক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদিচের গ্রেপ্তার তথা সার্বিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের প্রশ্নে চ্যান্সেলর বলেন, যে তাঁর বিশ্বাস এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল৷ চিরকাল বলা হয়েছে যে সার্বিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চুক্তি তখনই পুরোপুরি কার্যকর হবে, যখন সে দেশ জাতিসংঘ আদালতের সঙ্গে পূর্ণ সহয়োগিতা করবে৷ অথচ ঐ অঞ্চলের দেশগুলির কাছে এটা অত্যন্ত কঠিন এক প্রক্রিয়া৷ কিন্তু এছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই৷ তবে সার্বিয়া কোন না কোন দিন ঠিকই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবে৷
এছাড়াও ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির উপর বক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷