1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছুটিতে যাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল

দেবারতি গুহ২৩ জুলাই ২০০৮

গ্রীষ্মের ছুটিতে যাওয়ার আগে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ কথা বলেন জোট সরকারের ভবিষ্যত সহ বহু আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে৷

https://p.dw.com/p/EidF
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির বর্তমান জোট সরকার আগামী নভেম্বরে তার তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে৷ এই সরকার আসার পর থেকে এখনো পর্যন্ত জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল৷ এমনকি পররাষ্ট্র বিষয়েও জার্মানি আন্তর্জাতিক মহলে একটি জায়গা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে৷ কাজেই এই জোট সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ করার সমূহ সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, যে ২০০৮ তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এসময় দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে৷ ২০০৫-এর পরবর্তি সময় থেকে প্রায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ নতুন মানুষের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয়েছে৷

Angela Merkel im Videoblog
ছুটিতে গিয়েও কি ভিডিও ব্লগ করবেন ম্যার্কেল?ছবি: picture-alliance/ dpa

এইভাবেই মাত্র ১০০ মিনিটে সাংবাদিকদের প্রায় ৫০-টি প্রশ্নের উত্তর দেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে আসন্ন মার্কিন নির্বাচন প্রসঙ্গ৷ মার্কিন সেনেটর বারাক ওবামা সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জয়ী হন না কেন, তিনি তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করবেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অন্যতম সদস্য দেশ হিসেবে জার্মানি ইতিমধ্যেই একটি নীতি অবস্থান গ্রহণ করেছে৷ তাই বল্কান সমস্যার মতো সমস্যাগুলি মোকাবিলায় জার্মানির অবদান আজ অস্বীকার করা যায় না৷ বলেন তিনি৷

১০ বছর ধরে পলাতক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদিচের গ্রেপ্তার তথা সার্বিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের প্রশ্নে চ্যান্সেলর বলেন, যে তাঁর বিশ্বাস এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল৷ চিরকাল বলা হয়েছে যে সার্বিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চুক্তি তখনই পুরোপুরি কার্যকর হবে, যখন সে দেশ জাতিসংঘ আদালতের সঙ্গে পূর্ণ সহয়োগিতা করবে৷ অথচ ঐ অঞ্চলের দেশগুলির কাছে এটা অত্যন্ত কঠিন এক প্রক্রিয়া৷ কিন্তু এছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই৷ তবে সার্বিয়া কোন না কোন দিন ঠিকই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবে৷

এছাড়াও ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির উপর বক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷