চ্যাম্পিয়নস লিগ
১৮ এপ্রিল ২০১২খেলার প্রায় শেষ মুহূর্তে মারিও গোমেজ'এর গোলে জিতল বায়ার্ন৷ অবশ্য গোমেজ তাদের গোল্ডেন বয়৷ যেমন আরিয়েন রবেন আর ফ্রঙ্ক রিবেরি মিলে রেয়ালের ডিফেন্সের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে৷ তবুও বোদ্ধারা বলবেন, কিউরিয়াস গেম৷ কেননা রিবেরি'র যে গোলে বায়ার্ন প্রথমার্ধে এগিয়ে যায়, সে'সময় একজন বায়ার্ন প্লেয়ার অফসাইডে ছিল৷ অবশ্য রেয়ালের কোচ হোসে মুরিনহো তা নিয়ে জল ঘোলা করতে চাননি৷ দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হবার আট মিনিটের মধ্যে মেসুত ওয়েজিল'এর ইকোয়ালাইজার৷ হ্যাঁ, জার্মান জাতীয় টিমের মেসুত ওয়েজিল৷ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাপেক্ষা মূল্যবান প্লেয়ার কাকা'কে বেঞ্চে বসিয়ে যা'কে মাঠে নামিয়েছিলেন মুরিনহো৷ এবং সবশেষে বায়ার্নের গোল্ডেন বয়ের গোল৷
এখন রবেন বলছে, ওদের একটা গোল করতে দেওয়াটা লজ্জাকর, কিন্তু ফলাফলটা ভালোই হয়েছে৷ অন্যদিকে ওয়েজিল'এর বক্তব্য: ‘‘দু'টো বোকা গোল খেলাম৷ কিন্তু নিজেদের মাঠে জিতবই৷'' এবং সেটা জিততে পারলেই রেয়াল ১৯শে মে আবার মিউনিখে ফিরবে ফাইনালের জন্য৷ রেয়ালের কোচ মুরিনহো'ও ব্যাপারটা সেভাবেই দেখছেন: ‘‘নিজেদের মাঠে জিততে পারলেই আমরা সেখানে'' - অর্থাৎ মিউনিখের ফাইনালে৷
কিন্তু রেয়াল যেমন মিউনিখে বায়ার্নের বিরুদ্ধে কোনোদিন জেতেনি, বায়ার্ন কিন্তু মাদ্রিদে এর আগে দু'বার জিতে এসেছে৷ এবারেও সান্টিয়াগো বের্নাবেউ স্টেডিয়ামে বায়ার্নের রণকৌশল হবে, ‘‘ওদের আমাদের অ্যাটাক করতে হবে৷ আর সেখানেই আমাদের জোর৷ আমরা অপেক্ষা করতে পারব,'' বলেছেন বায়ার্নের ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম৷
রিবেরি বলেছেন, ‘‘আমরা জমাট থাকব৷ মাদ্রিদের আক্রমণ করতে হবে৷ তখন আমরা কাউন্টারের সুযোগ পাব৷'' ২৫শে এপ্রিল, বুধবার, তার নিষ্পত্তি হবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ