চীনে সৌরশক্তির জয়যাত্রা
চীন ২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি সৌরশক্তি উৎপাদন করেছে৷ সরকার আরো বেশি সৌরশক্তির ব্যবহার দেখতে চায়৷ ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেলে ছেয়ে গেছে দেশ৷
ধীরে ধীরে...
চীনের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উত্তর-পশ্চিমের গানসু প্রদেশের দুনহুয়াং-এ অবস্থিত৷ ২০১০ সালে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়৷ দুনহুয়াংয়ের ১০০ মেগাওয়াট সে আমলে গোটা দেশের সৌরশক্তি উৎপাদনের একটা বড় অংশ ছিল৷ তারপর থেকে চীন সৌরশক্তির উৎপাদন আরো অনেক বাড়িয়েছে৷
‘সূর্যমুখি’
দক্ষিণ চীনের চুঝু একটি ছোট শহর৷ চুঝুর পাহাড়ি এলাকায় দক্ষিণমুখি সব ঢাল জুড়ে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ এলাকাটি কিন্তু নানজিং মহানগরী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে৷
উচ্চাকাঙ্খা
চীন ২০২০ সালের মধ্যে বছরে ২০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জন করতে চায়৷ ২০১৬ সালে চীন সব প্রত্যাশা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত ৩৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল৷ ২০১৭-র প্রথম তিন মাসেই গত বছরের তুলনায় সৌরশক্তির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ৷
নির্মল বাতাস
চীন যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে, তার মূল কারণ হলো, দেশের বড় শহরগুলিতে ব্যাপক বায়ুদূষণ৷ ছবিতে চল্লিশ লাখ বাসিন্দার শহর উহান-এ শ্রমিকরা একটি বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসাচ্ছেন৷
টেসলার সঙ্গে টক্কর
চীনের শহরগুলিতে বায়ুদূষণ রোধে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি একটা বড় ভূমিকা নেবে৷ কিন্তু ইলেক্ট্রোমোবিলিটির জন্যও চাই বিদ্যুৎ – তাই চীন সরকার ২০২০ সালের মধ্যে সৌরশক্তি উৎপাদনে ৩৪,৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চান৷
বিশ্বের বৃহত্তম সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট
চীনের দেলিঙ্ঘায় ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ চুল্লি গড়ে তোলা হচ্ছে৷ আয়নাগুলি সূর্যরশ্মি একত্রিত করে টাওয়ারের ওপর বসানো ছয়টি ‘কলেক্টার’-এর দিকে প্রতিফলিত করবে৷ এ থেকে যে উত্তাপ সংগৃহীত হবে, তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে৷ নির্মাণকার্য শেষ হওয়ার পর দেলিঙ্ঘা ৮১০ মেগাওয়াট অবধি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে৷