চীনে বিষাক্ত গুঁড়ো দুধ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮মা সিয়াওয়েই আরো জানিয়েছেন, বিষাক্ত ওই দুধ খেয়ে এ পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছে ১,২৫৩ শিশু৷ এর মধ্যে এই সপ্তাহান্তেই অসুস্থের সংখ্যা ৪৩২৷
পুলিশ জানিয়েছে, গুঁড়ো দুধে রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ভাইকে৷ দুধে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি দেখানোর জন্য মেলামাইন মিশিয়ে গত বছর থেকে ব্যবসা করে আসছিলো তারা৷ এ পর্যন্ত ৩ টন দুধে মেলামাইন মিশিয়েছে অভিযুক্তরা৷
চিকিত্সকদের মতে, মেলামাইনযুক্ত খাবারের কারণে কিডনি বিকল হওয়াসহ শিশুদের দেহে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ আর এই দুধ খেয়েই মে মাসে মৃত্যু হয়েছে প্রথম শিশুটির৷ জুলাইতে মারা গেছে আরেক শিশু৷
বিষাক্ত ওই গুঁড়ো দুধের প্রস্তুতকারক সানলু গ্রুপ৷ চীনে খুবই জনপ্রিয় তাদের পণ্য৷ গত ১৫ বছর সফলভাবে ব্যবসা করছে তারা৷ সানলু গ্রুপের ৪৩ শতাংশের শেয়ার হোল্ডার আবার নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ডেইরি ফার্ম ফনটেরা৷ তদন্তে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে গুঁড়ো দুধ উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷
নিজেদের উত্পাদিত পণ্যের কারণে এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছে সানলু গ্রুপ৷
তবে বিষাক্ত এ ব্যাপারে দেরিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীনা কর্মকর্তাদের দোষ দিলো নিউজিল্যান্ড৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিষাক্ত এসব পণ্য ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু চীনের স্থানীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি আমলে নেননি৷
১০ সেপ্টেম্বর চীনা গণমাধ্যমগুলোতে সানলু ফর্মুলার দুধ খেয়ে শিশুদের অসুস্থ্য হওয়ার খবর প্রকাশের পরদিন আগস্টে উত্পাদিত পণ্য ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নোটিশ জারি করে সানলু৷
প্রসঙ্গত, খাদ্রপণ্যে বিষাক্ত উপাদান মেশানোর ঘটনা এর আগেও বেশ কয়েক বার ঘটেছে চীনে৷ ২০০৪ সালে কোন রকম পুষ্টি ছাড়াই উত্পাদিত গুঁড়ো দুধ খেয়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর আনহুই-তে মৃত্যু মারা যায় ১৩ শিশু৷