চিরতরে বন্ধ হলো প্রযুক্তিমেলা ‘সেবিট'
২৯ নভেম্বর ২০১৮হানোফার শহরে প্রতি বছর হয়ে আসা এই মেলা বন্ধের পেছনে ক্রমহ্রাসমান দর্শকসংখ্যাকেই মূলত দায়ী করেছেন আয়োজকরা৷ একই সাথে এর পেছনে যে বিপুল পরিমাণ খরচ হয়, মেলার প্রদর্শনীর ভাড়া থেকে তার কিছুই ফেরত না আসাও অন্যতম কারণ৷
একসময় নানা দেশ থেকে সাড়ে আট লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিতেন বার্ষিক এই আয়োজনে৷ বিশেষ করে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে প্রযুক্তি কোনদিকে যাচ্ছে, তার ব্যারোমিটার হিসেবে ধরে নেয়া হতো এই মেলাকে৷
কিন্তু নতুন শতাব্দীতে এসে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও বিশ্বের নানা জায়গায় আরো আকর্ষণীয় মেলার আয়োজনের ফলে একসময় আকর্ষণ হারাতে থাকে সেবিট, কমতে থাকে যোগদানকারীর সংখ্যা৷
তবে এবার শুধু প্রযুক্তিতে সীমাবদ্ধ না থেকে, এর সাথে মজার কিছু আবহ যোগ করে দর্শক টানার চেষ্টা করেছিলেন আয়োজকরা৷ প্রয়ুক্তির নানা মজার মজার ব্যবহার, বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা ছিল তাঁদের৷ কিন্তু তাতেও খুব একটা সাড়া মেলেনি৷
সেবিটকে নতুনভাবে সাজানোর মাধ্যমে হারানো শীর্ষস্থান ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবে রাজী হয়েছিল হেওলেট প্যাকার্ড এন্টারপ্রাইজ, ভোডাফোন এবং সেলসফোর্সের মতো প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলো৷ কিন্তু মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তি ‘জায়ান্টরা' এতে একমত হতে পারেনি৷
সেবিটের আয়োজক ডয়চে মেসের প্রধান নির্বাহী ইয়োশেন ক্যোকলার জানিয়েছেন, হানোফার বাণিজ্য মেলা শিল্পসংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রযুক্তির মেলায় পরিণত হয়েছে৷ ফলে এককভাবে আর কখনো আয়োজন না হলেও, বৃহত্তর এক মেলার অংশ হিসেবে কোনো-না-কোনোভাবে কাজ করে যাবে সেবিট৷
সেবিট চিরতরে বন্ধের ঘোষণার ফলে তথ্যপ্রযুক্তির একটি সুবর্ণ যুগের অবসান হলো বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা৷ পাশাপাশি, এই খাতে জার্মানির ক্রমশ কমতে থাকা প্রভাব একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকার আশংকাও করছেন তাঁরা৷
এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)