চার বছরেও রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের রায় হয়নি
১২ অক্টোবর ২০২১ট্রাইবুনালের পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ছুটিতে আছেন, রায় প্রস্তুত হয়নি৷ রায়ের তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে৷''
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে৷ ধর্ষিতা দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন৷ অন্য আসামিরা তাদের সহায়তা করেন৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার আসামি পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল৷ আসামিদের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় ৩ অক্টোবর৷ রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর চার বছর আগের এই মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে৷
ধর্ষণের মামলাটি করার কয়েকদিনের মধ্যে সিলেট থেকে ১১ মে সাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তার হন অন্য আসামিরাও৷ এই ধর্ষণের ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান শুরু হয় এবং বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়৷
আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মতে, ধর্ষণের মামলাটি সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ইন্ধনে হয়েছে৷ মামলা হওয়ার কয়েক মাস আগে সাফাতের সঙ্গে পিয়াসার বিচ্ছেদ হয়৷ মামলা হয় পিয়াসা এবং তার সাবেক শ্বশুর দিলদারের মধ্যেও৷
সাফাতের সাবেক স্ত্রী পিয়াসা সম্প্রতি মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)