1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোটা রাজ্যে ৪৮ ঘণ্টায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ

১৫ জুন ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গ-জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে এবং তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। কলকাতা হাইকোর্টের রায়।

https://p.dw.com/p/4ScBU
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি। ছবি: Faisal Bashir/SOPA Images via ZUMA Press Wire/picture alliance

হাইকোর্ট আগে জানিয়েছিল, স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই স্পর্শকাতর এলাকা কমিশন ঠিক করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল।

এরপর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকী তারা বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে গিয়ে বলে, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতই করা হয়নি।

এরপরই প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ''এবার গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব? সেটা কি ভালো হবে? কেন হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা হলো না?  ফেলে রাখার জন্য নির্দেশ দিইনি।'' এরপর দিনভর যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তা দেখেও হাইকোর্টের প্রশ্ন ছিল, এটা কী হচ্ছে?

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া মনোভাব কলকাতা হাইকোর্টের।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া মনোভাব কলকাতা হাইকোর্টের।ছবি: Subrata Goswami/DW

এরপর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। তারপর বিচারপতিরা রায় দেন, গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে। এর খরচ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে। চাওয়ামাত্র কেন্দ্রকে বাহিনী পাঠাতে হবে।  হাইকোর্টে আবেদনকারী বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত বলেছে, সব সরকারি কর্মীকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। দেখতে চাওয়া হলে তা দেখাতে হবে।

তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ থাকছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকারের। 

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন,, তাদের জয় হয়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। তারা দুই দিন ধরে সন্ত্রাস চালিয়েছে। তার জেরে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। তারা নীতিগতভাবে এর বিরোধিতা করছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী সত্ত্বেও তারাই জিতবেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এবিপি আনন্দ)