1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুলজারের বিয়ের স্বপ্ন

১৮ জুলাই ২০১৪

পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গি দমন অভিযানে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী৷ কিন্তু এর ফলে এক বৃদ্ধের স্বপ্ন চুরচুর হয়ে গেছে৷ কী ছিল তাঁর স্বপ্ন? ৩৬ সন্তানের জনক ঐ বৃদ্ধের স্বপ্ন চতুর্থ বিয়ের৷

https://p.dw.com/p/1Cedg
ছবি: A Majeed/AFP/Getty Images

তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গি ঘাঁটি উচ্ছেদে সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের লাখো মানুষ ঘর ছাড়া৷ গুলজার খান তাদেরই একজন৷ শাওয়া গ্রামে নিজের বিশাল বাড়ি, যেখানে ৩৫টি ঘর ছিল৷ সে সব ছেড়ে আজ বানুতে ছোট্ট একটি জায়গায় পরিবারের শতাধিক সদস্য নিয়ে থাকছেন তিনি৷ ৫৪ বছর বয়সি গুলজারের ৩৬ সন্তান এবং অর্ধশতাধিক নাতি-নাতনি৷ পরিবার আরো বাড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি৷ তাই চতুর্থ বিয়ের স্বপ্ন ছিল তাঁর৷ এ জন্য বেশ কিছু অর্থও জমিয়েছিলেন৷ কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে গুলজার বলেন, ‘‘বানুতে এই বিশাল পরিবার নিয়ে থাকতে আমার অনেক খরচ হচ্ছে৷ ফলে আমার জমানো অর্থে হাত দিতে হয়েছে৷ তবে আবারো আমি অর্থ জমাবো এবং স্বপ্ন পূরণ করবোই৷''

ইসলামি আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন৷ আর রক্ষণশীল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে বড় পরিবার মানেই মর্যাদাও অনেক৷ গুলজারের প্রত্যেক স্ত্রীর ১২টির বেশি সন্তান রয়েছে এবং তারা আর সন্তান জন্ম দিতে নারাজ৷ গুলজার এএফপিকে জানান, তিনি আরো সন্তান চান, তাই চতুর্থ বিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷

Schuhputzer Abdul Wali
য়াজিরিস্তানের লাখো মানুষ ঘর ছাড়া, গুলজার খান তাদের একজনছবি: DW/H. Sirat

গুলজারের প্রথম বিয়ে হয় ১৭ বছর বয়সে৷ প্রথম স্ত্রীর গর্ভে আট মেয়ে এবং চার ছেলের জন্ম হয়৷ ২৫ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি৷ গুলজার বলেন, ‘‘আমি এক নারীতে সন্তুষ্ট ছিলাম না, কারণ সে আমাকে সহবাসে তৃপ্ত করতে পারত না৷ তাই দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হই আমি৷ আমি কোনো পাপ করতে চাই না৷ তাই বৈধ উপায়েই আমি আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্য বিয়ে করেছি৷''

গুলজার খান পেশায় একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার৷ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দুবাইতে ট্যাক্সি চালিয়েছেন৷ তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নিজের ভাবি৷ গুলজারের বড় ভাই দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তাঁর বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন তিনি৷ গুলজারের দুই ছেলে এখন দুবাইতে ট্যাক্সি চালায় এবং প্রতি মাসে ৫০ হাজার পাকিস্তানি টাকা পাঠায়৷ সেই অর্থ দিয়েই এখন সংসার চালান তিনি৷

সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন এত বড় পরিবার নিয়ে কোন সমস্যা হয় না? জবাবে তিনি বলেন, এত বড় পরিবার হওয়ায় কোনো না কোনো সন্তান বা নাতি-পুতি তার ঘরে ঘুমায়৷ ফলে স্ত্রীদের সাথে একান্ত সময় কাটাতে পারেন না৷ আর কোন স্ত্রীর সন্তান যে কে, সেটা প্রায়ই ভুলে যান তিনি!

এপিবি/এসবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য