1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গালিলেও নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষিপ্ত হলো মহাকাশে

২২ অক্টোবর ২০১১

একদিন বিলম্বে হলেও ইউরোপের দীর্ঘ-কাঙ্খিত গালিলেও জিওপজিশনিং সিসটেম-এর দুটি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে উড়লো শুক্রবার সোভিয়েত রকেট সয়ুজ৷ এই নভোযান উৎক্ষিপ্ত হয় ফরাসি গায়ানার কুওরু’তে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার লঞ্চপ্যাড থেকে৷

https://p.dw.com/p/12wtA
A handout picture provide by ESA shows the Soyuz VS01 lift off from the spaceport in French Guiana, 21 October 2011. Two navigation satellites for the European Space Agency_s planned Galileo network blasted off on 21 October from a launch pad in French Guiana. The launch of the Russian Soyuz rocket took place at 1030 GMT and appeared to proceed normally, mission controllers said according to Russian news agency Interfax. The companies EADS Astrium and Thales Alenia Space manufactured the satellites on behalf of the European Space Agency. The satellites should remain operational for 12 years. The two satellites were to become the third and fourth of a planned 30-satellite constellation that will provide a European world navigation network similar to the GPS system developed by the US or Russia_s GLONASS system. The mission from the Kourou Spaceport was the first-ever launch of a Russian Soyuz rocket from French Guiana. The first two Galilo satellites also flew aboard a Soyuz, launched from Kazakhstan_s Baikonur space centre in 2008. EPA/STEPHANE CORVAJA - ESA/CNES/ARIANESPACE HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES +++(c) dpa - Bildfunk+++
গালিলেও নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষিপ্ত হওয়ার দৃশ্যছবি: picture-alliance/dpa

সোভিয়েত নভোযান সয়ুজ মারফত ইউরোপীয় নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এই উদ্যোগকে মহাকাশ সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ কেননা মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্রে লেজেন্ড'এর সম্মান পাওয়া সয়ুজ প্রথম উৎক্ষিপ্ত হলো ঐতিহাসিক প্লেজেটস্ক আর বাইকানুর ঘাঁটির বাইরে অবস্থিত কোন লঞ্চপ্যাড থেকে৷ আর যে-দুটি স্যাটটেলাইট সাথে নিয়ে উড়লো সয়ুজ তা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী প্রকল্পরেই অন্তর্গত৷

স্যাটেলাইট নেভিগেশনের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিসটেম৷ আছে রাশিয়ার গ্লোনাস সিসটেম৷ বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে স্বনির্ভর হবার তাগিদেই ইউরোপ গড়ে তুলছে তার গালিলেও ওয়ার্ল্ড নেভিগেশন নেটওয়ার্ক৷ সদ্য উৎক্ষিপ্ত দুটি স্যাটেলাইট পরিকল্পিত সর্বমোট ৩০টি স্যাটেলাইট নির্ভর ব্যবস্থারই তৃতীয় ও চতুর্থ অংশ৷ প্রথম দুটি গালিলেও স্যাটেলাইটও মহাকাশে বসিয়ে দেয় সয়ুজ ২০০৮ সালে৷ তবে সেবার সয়ুজ উড়েছিল কাজাকস্তানের বাইকানুর মহাকাশ কেন্দ্র থেকে৷ ২০১২ সালের আগস্ট মাসে আরো গালিলেও স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ ২০২০ সালে গোটা প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা৷

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার পক্ষে এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ইএডিএস অ্যাট্রিয়াম আর থালেস আলেনিয়া স্পেস্স৷ বিষুবরেখার ৫৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তার কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করবে স্যাটেলাইট৷ এইসব কৃত্রিম উপগ্রহের কারণে শহরগুলোতে রিসেপশনের মান অনেক উন্নত হবে৷ কেননা শহরের খুব উঁচু ভবনগুলো সিগন্যাল ঢেকে রাখতে সক্ষম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশন বলছে, জিওপজিশনিং সার্ভিস-এর বাজার ২০১০'এর ১৩০ বিলিয়ন ইউরো থেকে বেড়ে ২০২০ সালে হবে ২৪০ বিলিয়ন ইউরো৷

এবার কুওরু থেকে সয়ুজ যানের সফল উৎক্ষেপণও রাশিয়ার জাতীয় মহাকাশ সংস্থার ওপর আস্থাটাও বাড়িয়ে তুলবে৷ এই আস্থা সংস্থার জন্য এখন জরুরি হয়ে পড়েছে৷ আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস'এ সরবরাহ সামগ্রী বহনকারী একটি সয়ুজ রকেট ক্র্যাশ করার পর সয়ুজ'এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ যদিও সয়ুজের সাফল্যের ইতিহাস দীর্ঘদিনের৷ ১৯৫৭ সালে প্রথম সোভিয়েত স্যাটেলাইট স্পুটনিক নিয়ে মহাকাশে উড়েছিল সয়ুজ৷ ১৯৬১ সালে সয়ুজেই ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন প্রথম মহাকাশচারী মানুষ৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন মহল শুক্রবারের স্যটেলাইট উৎক্ষেপণ কর্মসূচির সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত৷ ইইউ'র শিল্প ও উদ্যোগ সংক্রান্ত কমিশনার আন্তোনিও তাজানি এই উৎক্ষেপণকে বিশাল এক সুফল বলে অভিহিত করে বলেছেন, এটা অত্যন্ত জোরালো এক রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিল৷ তিনি মনে করেন, ইউরোপ যে বড় আকারের এক প্রকল্প চালাতে সক্ষম তারই প্রমাণ পাওয়া গেল৷

ফ্রান্সের উচ্চতর শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রাক্তন ইউরোপ বিষয়ক উপমন্ত্রী লরঁ ওয়াকিয়েজ বলেছেন, এ হল সহযোগিতার সুন্দরতম এক কাহিনী৷ ইউরোপ পাবে বিশেষ একটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করার সুবিধা৷ রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী সের্গেই ইভানভও এই রুশ-ইউরোপ সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান