গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, দায়ী ভারতীয় কাশির সিরাপ?
৭ অক্টোবর ২০২২বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা মেডেনের তৈরি চারটি সিরাপ গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখেছে৷ সেগুলোর মধ্যে যে পরিমাণ ডাইইথাইলিন গ্লাইকল ও ইথাইলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে তা ‘অগ্রহণযোগ্য’৷ এই দুটি উপাদান বিষাক্ত হতে পারে এবং সেগুলোর কারণে কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷
ওষুধ তৈরিতে গ্লিসারিনের সস্তা বিকল্প হিসেবে এই দুটি উপাদান ব্যবহৃত হতে পারে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে চারটি সিরাপ পরীক্ষা করেছে সেগুলো হলো প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ৷
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চার সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করতে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের পরীক্ষার তথ্য ভারতকে দেয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে৷
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পরীক্ষার তথ্য পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷
হরিয়ানা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, পরীক্ষায় যদি ‘ভুল কিছু পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতমাসের শেষের দিকে ভারতের ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়াকে’ গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছিল৷
তবে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের পরিচালক নরেশ কুমার গয়াল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তারা মাত্র বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন৷ তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন বলেও জানান৷
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত মেডেন কোম্পানি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে ঐসব সিরাপ রপ্তানি করে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)