1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় হামলা অব্যাহত থাকলেও মানবিক সাহায্য পাঠাবে ইসরায়েল

দেবারতি গুহ৭ জানুয়ারি ২০০৯

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনে সক্রিয় হলেও, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/GTIS
গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইছে সকলেইছবি: AP

ইসরায়েলী কর্মকর্তারা অবশ্য প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছেন৷ ওদিকে, হামাস গাজায় ইসরায়েলী হামলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার এবং গাজা ক্রসিং পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

খুব স্বাভাবিকভাবেই, এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ জনজীবন৷ ইতিমধ্যেই গাজার দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিস অঞ্চলে ইসরায়েলী স্থলকামান প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে৷ ফলে ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে বলে প্রকাশ৷ আর নিহত ঐ ৬০০ জনের মধ্যে ১৩০ জন হামাস যোদ্ধা বলে দাবী করেছে ইসরায়েল৷

গাজায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি জন গিং সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন : এমতাবস্থায় কি করা হবে এবং কি হবে না – কাউকে তো তার দায়িত্ব নিতেই হবে৷ গাজাতে কি হচ্ছে তা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে দেখতে পারছি৷ এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার৷

এদিকে, ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন৷ আব্বাস ছাড়াও ঐ বৈঠকে যোগ দেন সৌদীআরব, মিশর, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ দেওয়াই ঐ বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য৷ উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকের পর, অবশেষে গাজাতে মানবিক সাহায্য পাঠাতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল৷

তবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে সার্কোজির মধ্যপ্রাচ্য সফর সত্ত্বেও, একটি সহমত চুক্তিতে পৌঁছোতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ অথচ, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লু বুশের মধ্যপ্রাচ্যে নীতি ব্যর্থ হওয়ায়, ধারণা করা হচ্ছিল যে এই সংকট নিরসনে ইউরোপের দিক থেকে একটি গঠনমূলক ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ আর দীর্ঘ নিরবতার পর গাজার মানুষদের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ভেনেজুয়েলাও তাদের তাদের ইসরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করেছে বলে জানা গেছে৷

অন্যদিকে, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার দুই নম্বর নেতা আইমান আল-জাওয়াহরি, ইসরায়েলী হামলার প্রতিবাদে মুসলিমদের পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে৷

তারপরও গাজায় এই ইসরায়েলী হামলাকে স্বল্পমেয়াদী হিসেবে দেখতে চান ইসরায়েলী শিক্ষামন্ত্রী উলি তামির৷ তাঁর কথায : যুদ্ধবিরতি সকলেরই কাম্য৷ কিন্তু, তার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে৷ প্রথমত, গাজাতে রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে হামাসকে৷ দ্বিতীয়ত, তাদের মিশর থেকে অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ করতে হবে এবং তৃতীয়ত, অন্যতম ইসরায়েলী সেনা কর্মকর্তা গিলাট শালিতকে ফিরিয়ে দিতে হবে হামাসকে৷

আর তা না করা পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় এই হামলা চালিয়ে যাবে৷ জানান ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এহুদ অলমার্টও৷