1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা

১৪ মে ২০২১

উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর মর্টার হামলা। গাজার সীমানায় বসবাসকারী ইসরায়েলিদের পাঠানো হয়েছে শেল্টারে।

https://p.dw.com/p/3tMhw
ইসরায়েল
ছবি: Ilia Yefimovich/dpa/picture alliance

এক সপ্তাহ কেটে গেছে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনার লড়াই এখনো অব্যাহত। বৃহস্পতিবার গাজা স্ট্রিপে একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। একই সঙ্গে গাজার সীমানায় মোতায়েন করা হয়েছে ইসরায়েলি সেনার স্থলবাহিনী। তারাও সেখান থেকে মর্টার হামলা চালাচ্ছে। প্রত্যুত্তরে এখনো রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস।

ফিলিস্তিনের প্রেস সাফা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় এখনো পর্যন্ত ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু আছে। ইসরায়েলের অবশ্য দাবি, গাজায় কেবলমাত্র হামাসের ভবনগুলিতেই হামলা চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটছে না। একাধিক মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইসরায়েলের আক্রমণে বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সংবাদসংস্থা এএফপি-ও একই কথা জানিয়েছিল বুধবার।

অন্যদিকে হামাসও ইসরায়েলে লাগাতার রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রকেটের আঘাতে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের আঘাতে এক বছর পঞ্চাশের ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন ৯০ বছরের বৃদ্ধও আহত হয়েছিলেন। তবে তার আঘাত ততটা গুরুতর নয়।

ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় বড় মিছিল হয়েছে বৃহস্পতিবার। মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদানে ছুড়েছে। তবে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের একটি টুইট ঘিরে। সেখানে বলা হয়, দেশের সেনা এবং বিমানবাহিনী গাজায় লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের সেনা ঢুকে পড়েছে। ঘণ্টা দুয়েক পরে ফের সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, গাজার সীমানায় রয়েছে সেনা। তারা ভিতরে ঢোকেনি। তবে সাফা জানিয়েছে, সীমানায় দাঁড়িয়ে মর্টার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনা।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার দুই পক্ষকেই দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সকলে যাতে শান্তি প্রস্তাব ঘোষণা করে, তার আবেদন করেছেন তিনি। গুতেরেস বলেছেন, ঈদের স্পিরিট মাথায় রেখে এ কাজ করা উচিত দুই পক্ষেরই। কিন্তু জাতিসংঘের আবেদনে সাড়া দেয়নি কোনো পক্ষই।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)