গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার
১ এপ্রিল ২০২৪দুই সপ্তাহের অভিযানের পর অবশেষে সোমবার ফিলিস্তিনের গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল৷ গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অভিযানের পর হাসপাতালের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসাবশেষের মতো পড়ে আছে৷
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, ‘‘শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের ভেতর ও আশেপাশ থেকে কয়েক ডজন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এর কতগুলো পচে গেছে৷''
তারা বলছে, হাসপাতালটি এখন ব্যবহারোপযোগী নেই৷
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ তারা বলছে, অভিযান সম্পন্ন হয়েছে৷
তারা বলছে, ‘‘বাহিনী যথাযথভাবে শিফা হাসপাতাল এলাকায় তাদের অভিযান সম্পন্ন করেছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে৷''
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই অভিযানকে সুনির্দিষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন৷
দেশটির শীর্ষ সেনা মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ডানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাস ও ছোট ছোট ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীগুলোর উত্তরাঞ্চলের মূল হেডকোয়ার্টার ছিল এই হাসপাতালের ভেতর৷
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা অস্ত্র ও ৩০লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ জব্দ করেছে এবং জঙ্গি সন্দেহে প্রায় নয়শ' জনকে গ্রেফতার করেছে৷ কোনো সাধারণ মানুষের ক্ষতি করা হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাগারি৷ তিনি বলেন, দুইশ' জন রোগীকে সরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের খাবার, পানি ও স্বাস্থ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে৷
এদিকে, হাসপাতাল এলাকার ছবিতে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন স্পষ্ট৷ বেশ কিছু ভাঙা দেয়াল দেখা গেছে সেখানে৷
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক ডাক্তার বলেছেন, কমপক্ষে ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার কয়েকটি সেনা প্রত্যাহারের যানবাহনের নীচে চাপা পড়েছে৷
মন্ত্রণালয় বলছে, ‘‘হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ধ্বংসের যে চিহ্ন তা বিরাট৷’’
কয়েকটি লাশ পচে গেছে বলে জানান তিনি৷
মোহাম্মদ মাহাদি নামের একজন ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, বেশ কয়েকটি ভবন পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসুস একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ২১ জন রোগী অভিযানে মারা গেছেন৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)