1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজা থেকে ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

২১ আগস্ট ২০২৪

গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ১০৯ জন জিম্মি এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4jk1i
মিশর এবং গাজা সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডোর
যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: Khalil Hamra/AP Photo/picture alliance

ইসরায়েলেরর ধারণা, বাকি জিম্মিদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এরই মধ্যে মারা গিয়েছেন।

এমন সময়ে এই তথ্য জানানো হলো, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধ শেষ করা এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে মিশর সফরে ছিলেন।

উদ্ধার করা মরদেহের একটি আব্রাহাম মুন্ডারের। তার ভাগ্নে জাহিরো শাহার মোর বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, "আমার চাচা একজন যুদ্ধ নায়ক ছিলেন যিনি সারা জীবন দেশ গড়ার জন্য কাটিয়েছেন। হামাস তাকে নিয়ে গেছে কিন্তু তাকে উদ্ধার না করার দায় ইসরায়েলি সরকারের।"

তিনি বলেন, "যারা এখনও জীবিত আছে তাদের (ফিরে) পাওয়ার লড়াই আমি বন্ধ করবো না। তা না হলে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কেউ এমন রাষ্ট্রে থাকতে চাইবে না যে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের যত্ন নেয় না, যে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং তাদের পরিত্যাগ করে।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসের একটি টানেলে 'জটিল অপারেশনের পর' ইয়াগেভ বুশটাব, আলেকজান্ডার ডানসিগ, আব্রাহাম মুন্ডার, ইওরাম মেটৎসগার, নাদাভ পপলেভেল এবং চাইম পেরির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস করা, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।"

জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তি করার জন্য সরকারের প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বাকি ১০৯ জিম্মিকে অবিলম্বে ফেরানো শুধুমাত্র একটি আলোচনার মাধ্যমে করা চুক্তির ফলেই অর্জন করা যেতে পারে। মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় বর্তমানে আলোচনায় থাকা চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য সামর্থ্যের সবকিছু করতে হবে ইসরায়েলি সরকারকে।"

চুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় জিম্মিদের পরিবারের কাছ থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, "সমস্ত জিম্মি - জীবিত এবং মৃতদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।"

জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে৷

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)