1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খরা কবলিত এলাকার জন্য বিজ্ঞানীদের নতুন দাওয়াই

১৩ জুন ২০১১

পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক দেশের খরায় বিপর্যস্ত এলাকাগুলির জন্য সুসংবাদ শোনালেন বিজ্ঞানীরা৷ বাতাসে সামান্য আর্দ্রতার মাধ্যমে সেসব জায়গায় বৃষ্টি নামানো সম্ভব বলে জানা গেল৷

https://p.dw.com/p/11ZE0
ছবি: picture-alliance / chromorange

ব্রিটেন, ফ্রান্স আর অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ঝড়বাদলের তথ্য এককাট্টা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন, যে কিছু এলাকায় জমিতে আর্দ্রতা সৃষ্টি করতে পারলে তার সাহায্যে খরা বিপর্যস্ত চাষীদের সাহায্যে নেমে আসবে বৃষ্টি৷

ব্যাপারটা শুনতে যতটা সহজ, আসলে ঠিক ততটাই জটিল যদিও৷ কিন্তু সেটা সম্ভব৷ আসলে পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাটি ফুটিফাটা অবস্থায় রয়েছে৷ সারা বছরে সেখানে বৃষ্টির সাক্ষাৎ পাওয়া রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার৷ স্বভাবতই চাষবাস শিকেয়৷ চাষীদের মাথায় হাত৷ এই সমস্যাটিকেই দূর করার নতুন পন্থা বের করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ কী সেই পন্থা?

২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মোট হাজার চারেক ঝড়বাদলের রেকর্ড বিজ্ঞানীরা উপগ্রহের তথ্যভাণ্ডার থেকে বের করে সেগুলি খুঁটিয়ে দেখার পর এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে এসেছেন৷

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেসব এলাকায় এরকম খরার প্রকোপ রয়েছে, সেখানে এমন জমিও আছে, যার নীচে জলের স্তর রয়ে গেছে৷ সেইসব জমি থেকে যদি কিছু আর্দ্রতা বাতাসে মেশানো সম্ভব হয় তাহলে বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা জোরদার৷ তবে তার জন্য ১০ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জমিকে আর্দ্র করতে হবে৷ সেই আর্দ্রতা বাতাসের সঙ্গে মিশে আকাশে পৌঁছে ডেকে আনবে বৃষ্টির মহা মূল্যবান মেঘকে৷

নতুন এই পদ্ধতি খরা কবলিত এলাকার কৃষকদের কৃষিকর্মে সহায়তা আনার পাশাপাশি তৈরি করতে পারে এক নতুন সম্ভাবনাও৷ ভৌগলিক চালচিত্রের বদল আসাই শুধু নয়, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা রোধেও এই নতুন গবেষণা কাজে লাগতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই