গোল-লাইন প্রযুক্তি
২৬ মার্চ ২০১৪রেফারি সেটা দেখতে না পেয়ে গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন৷ এতে অবাক হয়েছিলেন স্বয়ং কিসলিংও৷ সে সময় গোলটিকে ‘ফ্যান্টম গোল' বা ভূতুড়ে গোল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল৷
ঐ ঘটনার পর বুন্ডেসলিগায় গোল-লাইন প্রযুক্তি চালুর জোর দাবি ওঠে৷ তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হলে সেটা পাস করানো যায়নি৷ ৩৬টি ক্লাবের মধ্যে মাত্র ১২টি ক্লাব এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে মত দেয়৷ অথচ প্রস্তাবটি পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ দলের সমর্থন প্রয়োজন ছিল৷ সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফল জানানোর সময় প্রস্তাবটি পাস না হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে খরচের কথা বলা হয়৷
বুন্ডেসলিগার প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের ৩৬টি ক্লাব ভোটে অংশ নেয়৷ এর মধ্যে প্রথম বিভাগের প্রায় অর্ধেক ক্লাবই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও দ্বিতীয় বিভাগের মাত্র তিনটি দল প্রস্তাবের পক্ষে তাদের মত জানায়৷
প্রস্তাবটি পাস না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন শীর্ষ ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ারম্যান কার্ল-হাইনৎস রুমেনিগে৷ তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করলে আমরা এটা (সিদ্ধান্ত) মেনে নিতে হবে৷ কিন্তু আমরা (বায়ার্ন) এতে হতাশ৷'' রুমেনিগে বলেন, এর ফলে ভবিষ্যতেও আরও খারাপ সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে৷
হতাশা প্রকাশ করেছেন ডর্টমুন্ড আর মাইনৎসের কোচও৷ ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, জার্মানির উচিত ছিল ইংল্যান্ডের পথ অনুসরণ করা৷ উল্লেখ্য, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চলতি মরসুমে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়৷ আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলেও গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে৷
জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি কমিশনও গোল-লাইন প্রযুক্তি চালুর পক্ষে ছিলেন বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান টোমাস টুখেল৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)