কয়লাখনির জন্য গির্জা ভাঙা!
১১ জানুয়ারি ২০১৮সোম ও মঙ্গল - এই দুই দিন লেগেছে গির্জাটি ভাঙতে৷ ১৮৯১ সালে এটি নির্মিত হয়েছিল৷ সময় লেগেছিল প্রায় তিন বছর৷
গির্জা ভাঙার প্রতিবাদ জানাতে সোমবার সেখানে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ ও পরিবেশকর্মী৷ তবে আগে থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷ অবশ্য বিক্ষোভের কারণে ভাঙার কাজ শুরু হতে পাঁচ ঘণ্টা দেরি হয়৷ পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘‘যারা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে, তারা মানুষকেও ধ্বংস করতে পারে৷''
নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ইমেরাথে সেন্ট লাম্ব্যার্টুস গির্জাটি অবস্থিত ছিল৷ তার পাশে এনার্জি কোম্পানি আরডাব্লিউই-এর একটি কয়লাখনি আছে৷ সেখান থেকে ‘ব্রাউন কোল' বা বাদামি কয়লা, যা লিগনাইট নামেও পরিচিত, উত্তোলন করা হয়৷ খনিটি সম্প্রসারণ করতে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের আগেই অন্য এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷
তবে এটি সহজ কাজ ছিল না৷ এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছিল৷ পরে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত এই বিষয়ে একটি রায় দেয়৷ এতে বলা হয়, কয়লাখনি সম্প্রসারণের পক্ষে বেশিরভাগ মানুষ৷ তাই সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়া যেতে পারে৷ ২০১৩ সালের পর থেকে ঐ গির্জায় আর প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়নি৷
উল্লেখ্য, জার্মানির মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে৷ এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বাদামি কয়লা বা লিগনাইট, যা বেশি দূষণ ছড়ায়৷
তবে জীবাশ্ম ও পরমাণু জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে জার্মানি৷ ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত প্রসার ঘটছে৷
কয়লাখনি সম্প্রসারণে পরিবেশবাদীদের সমালোচনার জবাবে এনার্জি কোম্পানিগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, সৌর ও বায়ুশক্তি উৎপাদন যখন কম হবে তখনকার চাহিদা মেটাতে কয়লার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)