ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা বাবা-ছেলেদের কথা
বর্তমান বিশ্বকাপে মিচেল মার্শ যেমন অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে, নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম ল্যাথাম, ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কারেন এবং নেদারল্যান্ডসের হয়ে বাস ডি লিডি খেলছেন, একসময় তেমনি তাদের বাবারাও খেলেছেন বিশ্বকাপ৷
টিম ডি লিডি, বাস ডি লিডি
২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলায় নেদারল্যান্ডস টিম ডি লিডি চার উইকেট নিয়েছিলেন৷ এরমধ্যে শচীন টেন্ডুলকারের উইকেটও ছিল৷ তার ছেলে বাস ডি লিডি (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনিও চার উইকেট পেয়েছেন৷ ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে চারটি করে উইকেট পাওয়া বাবা ও ছেলে হচ্ছেন তারা৷
ডন প্রিঙ্গেল, ডেরেক প্রিঙ্গেল
ম্যানচেস্টারে জন্ম নেয়া ডন ১৯৫০-এর দশকে কেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ সেখানে গিয়ে তিনি পূর্ব আফ্রিকার হয়ে ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেন৷ তার ছেলে ডেরেক (ছবি) ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ ১৯৯২ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ৩ উইকেট নিয়েছিলেন৷
ল্যান্স কেয়ার্নস, ক্রিস কেয়ার্নস
বাবা ল্যান্স ১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ আর ছেলে ক্রিস (ছবি) খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপে- ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে৷ ২১৫টি একদিনের ম্যাচ খেলে ক্রিস ৪,৯৫০ রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন ২০১টি৷
রড ল্যাথাম, টম ল্যাথাম
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেলেছিলেন রড ল্যাথাম৷ তার ছেলে টম (ছবি) এবার আছেন নিউজিল্যান্ড দলে৷
কেভিন কারেন, স্যাম কারেন
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ বিশ্বকাপ খেলেন কেভিন কারেন৷ ৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ৭৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৬২ রান করেছিলেন৷ তার ছেলে স্যাম (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে৷
ক্রিস ব্রড, স্টুয়ার্ট ব্রড
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ক্রিস ব্রড৷ তবে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে তিনটি শতক হাঁকিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান তিনি৷ তার ছেলে স্টুয়ার্ট (ছবি) ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ তিনি টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার৷ খেলা শেষে ক্রিস আম্পায়ারিং করেছেন৷ ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীন ‘অশালীন ভাষা’ ব্যবহার করায় ছেলেকে শাস্তি দিয়েছিলেন ক্রিস৷
জিওফ মার্শ, শন মার্শ, মিচেল মার্শ
১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন জিওফ মার্শ৷ তার এক ছেলে শন মার্শ ২০১৯ বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে খেলেছেন৷ আরেক ছেলে মিচেল মার্শ (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন৷