ক্যানাডায় ‘গণহত্যার' শিকার ১২০০ আদিবাসী
৪ জুন ২০১৯১৯৮২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এসব নারী ও শিশুর নিখোঁজ ও হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান চালায় ওই তদন্ত কমিশন৷ সোমবার ১২শ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা৷
ওই ৩০ বছরে এক হাজার ১৭ জন অ্যাবরিজিনাল নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ২০১৪ সালে জানিয়েছিল রয়্যাল ক্যানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ৷ এরপর ২০১৬ সালে এসে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷
তদন্তের সময় দুই হাজার ৩০০ ক্যানাডিয়ানের সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিশন৷ যাতে প্রায় ১২শ নারী-শিশু খুন ও নিখোঁজ হওয়ার তথ্য উঠে আসে৷
কুইবেকের গ্যাটিনিয়াউতে যে অনুষ্ঠানে সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়, সেখানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং নিখোঁজ ও হত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা৷
আদিবাসী নারীদের রক্ষায় ক্যানাডা সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে স্বীকার করেন ট্রুডো৷ ‘‘আমরা আর ব্যর্থ হব না৷ এমন ঘটনা লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য৷ এটাকে থামাতেই হবে,'' অনুষ্ঠানে বলেছেন তিনি৷
তদন্ত কমিশনের সুপারিশের আলোকে সরকার কাজ করবে বলেও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো৷
যা আছে তদন্ত প্রতিবেদনে
ক্যানাডায় আদিবাসী মানুষের প্রতি 'দীর্ঘস্থায়ী বৈষম্য' এবং তাঁদের রক্ষায় ‘উদ্যোগহীনতার' সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে৷
এতে বলা হয়, আদিবাসী নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাঁদের ‘সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সমুন্নত ও বাস্তবায়ন' জরুরি৷
আদিবাসীদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ক্যানাডা ‘ব্যর্থ হয়েছে' বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে৷
নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ডগুলোর পেছনে আদিবাসী ও অনাদিবাসী পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সিরিয়াল কিলারদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্ত কমিশন৷
একইসঙ্গে চরম দারিদ্র্য, বর্ণবাদ, সেক্সিজম ও ভূমি থেকে উচ্ছেদসহ নানা রকম সামাজিক অসঙ্গতিকে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে তারা৷
‘‘যদিও নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিরা ভিন্ন পরিস্থিত ও প্রেক্ষাপট থেকে এসেছেন, তবুও সব ঘটনার পেছনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রান্তিকীকরণ কোনো না কোনোভাবে সংযুক্ত,'' বলেছেন তদন্ত কমিশনের প্রধান ম্যারিয়ন বালার৷
এমবি/ (রয়টার্স, এএফপি)