কোলনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সমকামী প্যারেড
জার্মান শহর কোলনে এই বছর জড়ো হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ সহনশীলতা এবং সম অধিকারের দাবি তাদের কণ্ঠে৷ জার্মানিতে সদ্য পাশ হওয়া ‘সমকামী বিবাহ’ আইন জুগিয়েছে উদযাপনের বাড়তি উপলক্ষ্য৷
সম অধিকারের লড়াই
ইউরোপের সমকামীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক আয়োজন এই কোলন প্রাইড প্যারেড৷ এ বছর ৮৫টি গাড়ির বহর ছাড়াও পায়ে হেঁটে যোগ দিয়েছেন অনেকেই৷ অংশগ্রহণকারীরা সমকামী ও উভকামীদের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা এবং সমান অধিকারের দাবি জানান৷
কোলনের বার্ষিক আয়োজন
১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহান্তে কোলনে আয়োজন হচ্ছে এই প্যারেড৷ প্যারেড শুরু হয় ডয়চে সাসপেনশন ব্রিজ থেকে৷ নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সবচেয়ে বড় শহর কোলনের কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয় এই প্যারেড৷
প্যারেডের চেয়েও বেশি কিছু
অংশগ্রহণকারীদের কাছে এই আয়োজন শুধু প্যারেডেই সীমাবদ্ধ নয়৷ কনসার্ট, পার্টি, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ একগাদা অনুষ্ঠান থাকে এই আয়োজনকে ঘিরে৷ এবারের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ব্রিটিশ ব্যান্ড ইরেশারের পরিবেশনা৷
‘আর কখনও নয়’
কোলনের এবারের গে প্রাইডের মূল উপজীব্য ছিল, ‘আর কখনও নয়’৷ যে সকল সমকামী ন্যাশনাল সোশ্যালিজমের সময় নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, তাদের স্মরণ করা হয় এবারের আয়োজনে৷ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে লেসবিয়ানদের কালো রংয়ের ত্রিকোণ ব্যাজ পড়তে বাধ্য করা হতো৷ ছেলেদের বেলায় এর রং ছিল গোলাপি৷
সবার জন্য বিয়ের অধিকার
বুন্দেসটাগে ৩০ জুন পাশ হওয়া ‘সবার জন্য বিয়ে’ আইন উদযাপন করার একটা উপলক্ষ্যও ছিল এবারের প্যারেড৷ আয়োজকরা অবশ্য মনে করেন, এখনও অনেকদূর যাওয়া বাকি৷ এখনও সমলিঙ্গের বিয়েতে বাবা ও মায়ের ভূমিকা নির্ধারণসহ আরো কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷
ব্যবসায়ীদের সমর্থন
এবারের প্যারেড বেশ কিছু কোম্পানির স্পন্সর পেয়েছে৷ এর মধ্যে একটি সাশ্রয়ী এয়ারলাইন ইউরোউইংস৷ সহনশীলতার মতো মানবিক মূল্যবোধের পাশে যে ব্যবসায়ীরাও আছে, এটাকে তারই প্রমাণ হিসেবে দেখছেন অনেকে৷ একই সাথে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের জন্য বিজ্ঞাপনটাও হয়ে গেল৷ ইউরোউইংসের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আমাদের সাথে চলো, রংধনুর আরো কাছে’৷