কোটা ‘যতদূর সম্ভব' বাদ দেয়ার সুপারিশ
১৩ আগস্ট ২০১৮সোমবার মন্ত্রিসভাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন কোটা পর্যালোচনা কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম৷
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মোহাম্মদ শফিউল আলম৷ এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারি চাকরির কোটা ‘যতটা সম্ভব' তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করবে কমিটি৷
তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংক্রান্ত আদালতের একটি রায় রয়েছে৷ ফলে, এই কোটার বিষয়ে বাস্তবতা তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হবে বলেও জানান সচিব৷ তিনি বলেন, আদালত এ বিষয়ে যে মত দিবে, সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, অর্থ বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবরা সদস্য হিসেবে আছেন৷
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ৷
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ' কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি তুলেছিল৷ কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণের দাবিও জানিয়েছিল তারা৷
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতিকে বাতিল ঘোষণা করেন৷ তবে পরে সংসদে তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে৷ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাই কোর্টের রায় আছে৷
তবে এ মন্তব্যে আবার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে৷ পরে ২ জুন পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়৷ পরে ১৯ জুলাই কমিটিকে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়৷
এডিকে/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)