কোলনকে ভালোবাসার দশ কারণ
শিল্প, সংস্কৃতি এবং কার্নেভাল – তবে এ সবের বাইরেও আরো অনেক ব্যাপার আছে কোলনে৷ আছে দু’হাজার বছরেরও পুরোনো, ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা সব ভবন৷ আছে বাণিজ্য মেলা, নাইট লাইফ....কিছুরই যেন কমতি নেই এ শহরে৷
কোলন ক্যাথিড্রাল – সত্যিকার অর্থেই এক বিশাল ল্যান্ডমার্ক
পর্যটকদের কাছে জার্মানির অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হচ্ছে কোলন ক্যাথিড্রাল৷ প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত’শ বছরের বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ওল্ড টাউন সেন্টার – একটি আধুনিক ঐতিহাসিক জায়গা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কোলনের ওল্ড টাউন সেন্টার৷ পরবর্তীতে গতশতকের ষাটের দশকে অনেক ভবনের সামনের অংশ ব্যবহারের উপযোগী করে সংস্কার করা হয়৷ বর্তমানে সেখানে অনেক আরামদায়ক ক্যাফে, রেস্তোরাঁ আর পানশালা রয়েছে৷
ঐতিহ্যবাহী ক্যোলশ বিয়ারের উৎপত্তি যেখানে
যেখানে তৈরি সেখানেই সেটির স্বাদ নেয়ার সুযোগ নিতে চাইলে কোলনে গিয়ে ক্যোলশ বিয়ার পান করতে হবে৷ শূণ্য দশমিক দুই লিটারের সরু গ্লাসে করে এই বিয়ার পরিবেশন করা হয়৷
প্রাচীন থেকে বর্তমান সময়ের মিউজিয়াম
শিল্প এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য এক আদর্শ স্থান কোলন৷ সেখানে অসংখ্য মিউজিয়ামে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ইভেন্ট চলতে থাকে৷ রোমান সময় থেকে নতুন প্রযুক্তি এমনকি চকলেট – সব ধরনের মিউজিয়ামই পাবেন কোলনে৷
চার্চ – অতীতের মহিমার সাক্ষী
মধ্যযুগে কোলন ছিল জার্মান ভাষী বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর এবং গির্জাসম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র৷ এখনো অনেক গির্জা সেই সময়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে৷
রাইনপার্ক – একটি বড় খেলার মাঠ
ক্যাথিড্রালের অপর পাশে রাইনের তীরে ৪০ হেক্টর জমির উপর রাইনপার্ক অবস্থিত৷ ১৯১২ সালে তৈরি পার্কটিকে ২০০৭ সালে জার্মানির সেরা পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ পার্কটিতে ফুটবল খেলার, এবং বার্বিকিউর ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর কোলনের চিড়িয়াখানা থেকে ক্যাবল কারে রাইন পার হয়ে পার্কে যাওয়া যায়৷
কার্নিভাল – কোলনের পঞ্চম মৌসুম
প্রতিবছরের একটি সপ্তাহ কোলন এক অসাধারণ স্থানে পরিণত হয়৷ বলছি কোলন কার্নিভালের কথা৷ গোটা বিশ্বে কোলন ডোম আর কার্নিভালের জন্য কোলন বিশেষভাবে পরিচিত৷ কার্নিভালের সময় সেখানে গেলে যে শব্দটি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে ‘আলাফ’৷ কার্নিভালের শুভেচ্ছা জানাতে শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷
বাণিজ্যমেলা – গেমসকম থেকে আর্ট কোলন
বাণিজ্য মেলার শহর হিসেবেও কোলনের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে৷ বিশ্বের অন্যতম বড় ভিডিও গেমের মেলা ‘গেমসকম’ এই শহরেই আয়োজন করা হয়৷ পাশাপাশি, শিল্প মেলা আর পোশাক খাতের মেলা তো আছেই৷
উদারমনা এবং স্বাগতপূর্ণ
মেট্রোপলিটন এবং টলারেন্ট – কোলনের ভিত্তি এই দু’টোর উপর৷ শহরটিতে সমকামীদের শক্ত অবস্থান রয়েছে৷ প্রতিবছর সমকামী এবং হিজড়াদের অধিকার নিয়ে বছরে দুই সপ্তাহের ‘কোলনপ্রাইড’ আয়োজন করা হয় কোলনে৷ আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী ‘ক্রিস্টোফার স্ট্রিট ডে’-রও৷
রাইন – বাণিজ্য রুট এবং চিত্তবিনোদনের জায়গা
জার্মানির সবচেয়ে দীর্ঘ নদী রাইনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এক চমৎকার স্থান কোলন৷ আর কোলনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে নৌভ্রমণ করতে পারেন রাইনে৷ নদী থেকে শহরটি দেখতে অসাধারণ মনে হয়৷