কোকোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার বিচার শুরু
৪ জানুয়ারি ২০১১অভিযোগ, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আরাফাত রহমান কোকো বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করেন৷ এই অর্থ সিঙ্গাপুরের নাগরিক লিং সিউ-এর সঙ্গে সেখানকার ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকের যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন তিনি৷ মোট অর্থের পরিমাণ ২৮ লাখ ৮৪ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার এবং ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা৷ জুলাইয়ে এই মামলার চার্জশিট দেয়ার পর মঙ্গলবার বিচার শুরু হল৷ প্রথমদিনে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ সাক্ষ্য দিয়েছেন৷ মামলায় দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, প্যারোল বাতিল করে গ্রেফতারি পরওয়না জারির পরও কোকো দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি৷ এই মামলায় তার পক্ষ থেকে নিয়োগ করা হয়নি কোন আইনজীবী৷
কোকো ছাড়া এই মামলার আরেক আসামি সায়মন আকবরও পলাতক আছেন৷ মামলায় মোট সাক্ষী ২৩ জন৷ সাক্ষীদের একজন সিঙ্গাপুরের লিং সিউকে এই ঘটনায় সেখানকার আদালত অর্থদণ্ড দিয়েছে৷ তবুও তাকে সাক্ষী দিতে ঢাকায় আনান চেষ্টা চলছে বলে জানান আইনজীবী৷
দুই আসমির অনুপস্থিতিতে বিচারক মোজাম্মেল হকের আদালতে শুরু হওয়া এই বিচারের রায় তাদের বিপক্ষে গেলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷ আর মামলা শেষে সিঙ্গাপুর সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী৷ আর আপিল করতে হলে আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক