কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি শহরে কারফিউ, চলছে বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাজধানীসহ ৪০টি শহরে চলছে কারফিউ। এর মধ্যেও থেমে নেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ।
৪০টি শহরে কারফিউ
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ৪০ টি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ১৫টি রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনী।
অনেক গ্রেপ্তার
রবিবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলার সময় অন্তত ৪,১০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এপি।
যেভাবে মৃত্যু ফ্লয়েডের
জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে টেক্সাসের হিউস্টনের বাসিন্দা জার্জ ফ্লয়েডকে গত ২৫ মে আটক করে মিনেসোটা পুলিশ। আটকের পর পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরলে এক পর্যায়ে তিনি মারা যান।
প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনায় তাকে মিনেপোলিসের সংশোধন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনায় জড়িত বাকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
চারজন বরখাস্ত
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রোষে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে ডেরেকসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
শহরে শহরে জনরোষ
নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনি ও রবিবার হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেন। অনেক জায়গায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ভবন বিধ্বস্ত
মিনেপোলিসে গত কয়েকদিনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সহিংসতায় বেশ কিছু ভবন বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ
বিক্ষোভ চলার সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকরা নিরাপত্তাবাহিনীর হামলার শিকার হন। শুক্রবার সিএনএন-এর সাংবাদিক ওমর জিমেন্স এবং তার সহকর্মীদের মিনেপোলিসে গ্রেপ্তার করা হয়। লাইভ চলাকালীন অনেক সাংবাদিককে হয়রানি এবং গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাতে লাইভের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ডয়চে ভেলের স্টেফান জিমোন্স। এসময় পুলিশ তার উদ্দেশে গুলি ছোড়ে।
ক্যানাডায় প্রতিবাদ
শনিবার ভ্যানকুভার ও টরটোন্টোতে ফ্লয়েড হত্যার বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নেন।
জার্মানিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
শনিবার রাজধানী বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসের সামনে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেন।