কুড়মিদের রেল অবরোধ, বহু ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগ
৫ এপ্রিল ২০২৩বুধবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রামে রেল ও সড়ক অবরোধ করেন কুড়মিরা। খেমাশুলি ও কুস্তাউর স্টেশনে অবরোধ করেন তারা। পুরুলিয়াতেও অবরোধ হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় সরাসরি এই অবরোধের প্রভাব পড়ে।
অবরোধ মূলত হয় ঝাড়গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় এবং পুরুলিায়। বাঁকুড়ায় কোনো অবরোধ হয়নি। কিন্তু ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিায় অবরোধের জেরে ট্রেন বাতিল হওয়ায় মানুষ বিপাকে পড়েন। একে প্রবল গরম, তার উপর ট্রেন বাতিলের ফলে যাত্রীরা প্রচুর কষ্ট সহ্য করে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। শুধু রেল নয়, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় কুড়মিরা সড়ক অবরোধও করেন।
অবরোধের ফলে মোট ৪৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কিছু দূরপাল্লার ট্রেন ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কেন এই অবরোধ?
কুড়মি সমাজের দাবি, তাদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে হবে। ভারতে কুড়মিরা অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। কিন্তু বাংলাদেশে কুড়মিদের তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেয়া হয়।
কুড়মিরা ঝাড়থণ্ড ও তার লাগোয়া জায়গায় বেশি তাকেন। তাদের নিজস্ব কুড়মালি ভাষা আছে। এদের একটা অংশ ঢাকায় কুড়মিটোলায় বসবাস শুরু করেন বলে মনে করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরেও তারা একই দাবিতে রেল অবরোধ করেছিলেন।
আদিবাসী কুড়মি সমাজের জেলা সম্পাদক সাধন মাহাতো বলেছেন, ''রাজ্য সরকার সিআরআই রিপোর্টের নামে আমাদের সঙ্গে ভেলকিবাজি করছে। এই ছলনার বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি। আমরা চাই কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করতে হবে। কুড়মালি ভাষাকে অষ্টম তফশিলের অন্তর্গত ভাষার তালিকায় ঢোকাতে হবে। আমাদের সারনা ধর্ম চালু করতে হবে।''
পুরুলিয়ার জেলাশাসক কজত নন্দা বলেছেন, ''আব্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আলোচনা চলছে।''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, টিভি৯, নিউজ১৮ বাংলা)