কিছু ব্যতিক্রমী স্থানে সৌরশক্তির ব্যবহার
সূর্যের আলো ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফটোভলটেক প্যানেল এখন গোটা বিশ্বে, এমনকি বিশ্বের বাইরেও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু স্থানে এই শক্তির ব্যবহার যা সচরাচর দেখা যায় না৷
সোলার ইয়টে বিশ্বভ্রমণ
‘রেস ফর ওয়াটার’ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার ইয়ট যেটি কোনো ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই চলে৷ ইয়টটির পাটাতনে থাকা সোলার প্যানেলগুলো ইলেক্ট্রিক মোটর চালু রাখে এবং রাতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারিগুলো চার্জ দেয়৷ ইয়টটিতে মাস্তুল এবং পালের বদলে স্টিয়ারিং কাইট ব্যবহার করা হয়৷
মোবাইল চার্জ দিতে সোলার মডিউল
মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে ছোট একটি সোলার মডিউল ব্যবহার করছেন এই রাখাল৷ যারা বাইরে ঘোরাঘুরি পছন্দ করেন তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই মডিউল৷ পিঠের ব্যাগ এবং তাঁবুতেও এটি ব্যবহার করা যায়৷ বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন থেকে দূরে কোথাও গেলে এটি সঙ্গে নেয়া যায়৷
জেট ফুয়েল ছাড়াই উড়াল
কোনো রকম জেটফুয়েল ব্যবহার না করেই ‘দ্য সোলার ইমপাল্স’ বিমানটি বিভিন্ন পর্যায়ের উড়াল পরিচালনা করেছে৷ বিমানটির পাখা এবং শরীরে সোলার প্যানেল বসানো রয়েছে যা ইঞ্জিনের শক্তি জোগায় এবং ব্যাটারি চার্জ করে৷ বিশ্বভ্রমণের মাধ্যমে এই বিমানটি সৌরশক্তি ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহ জোগায় এবং পরিবেশবান্ধব এই জ্বালানি দিয়ে কী কী করা সম্ভব সে সম্পর্কে ধারণা দেয়৷
দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমণে সৌরশক্তি
মহাকাশে দীর্ঘ ভ্রমণ সম্ভব করছে সোলার সেল৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রসহ স্যাটেলাইট বা মনুষ্যবিহীন ক্যাপসুলে জ্বালানি সরবরাহে সোলার প্যানেল ব্যবহার সম্ভব৷ গবেষকরা এখন মহাকাশে সোলার পার্ক তৈরির কথাও ভাবছেন৷
সৌরশক্তি ব্যবহার করে প্রথম টেলিফোন কল
প্রথমবারের মতো টেলিফোন এম্পলিফায়ার-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯৫৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে৷ এরপর মহাকাশ ভ্রমণে এই প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত হয়৷ তারপর থেকে প্রায় সবক্ষেত্রেই সৌরশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে৷
কৃষিখাতে সৌরবিপ্লব
মানুষের পক্ষে খামারে দীর্ঘসময় কাজ করা কঠিন৷ ডেনমার্কের সৌরশক্তি চালিত ফার্মড্রয়েড স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে এই কাজ একাই করতে পারে৷ এই রোবট পালং এবং সর্ষে দানা রোপণ করতে পারে৷ রোবটটি দিয়ে আগাছা নিড়ানোও সম্ভব৷
পানিতে ভাসমান সোলার প্ল্যান্ট
কেনিয়ার প্রথম ভাসমান সোলার প্ল্যান্ট তৈরি করেছেন এই কর্মীরা৷ দেশটির রাজধানী নাইরোবির উত্তরে একটি ফুলের খামারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এখান থেকে৷
দ্বীপে বিদ্যুতের উৎস সৌরশক্তি
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে সমুদ্রে ভাসমান সোলার প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে ২০১৯ সালে৷ ৬৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতার এই সিস্টেমটি ছোট হলেও এখন অবধি সমুদ্রে স্থাপিত সবচেয়ে বড় সোলার প্ল্যান্ট৷
সবার জন্য বিদ্যুৎ
দক্ষিণ সুদানের টুকুল গ্রামে কোনো ইলেক্ট্রিসিটি গ্রিড নেই৷ এখন অবশ্য সেখানকার বিদ্যুতের উৎস সোলার প্যানেল৷ জ্বালানি দরিদ্রতা বিশ্বের নানাপ্রান্তে এক বড় সমস্যা৷ গোটা বিশ্বে ২০১৬ সাল অবধি ৮৪০ মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলেন৷ ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটি অবশ্য কমে ৬৫০ মিলিয়ন হতে পারে৷ আর এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখছে সৌরশক্তি৷
পাহাড়ের উপরে সোলার প্যানেল
সুইজারল্যান্ডের বাসেলের কাছে মাৎসি হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত জলাধার৷ সেখানকার বাঁধের দেয়ালে বড় সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে৷ সারা বছর সেখানে অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়৷