1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাজার্মানি

কার্বন নির্গমন কমাতে ই-ট্রাক

২৬ নভেম্বর ২০২৪

পরিবহণের জন্য ট্রাক প্রয়োজন৷ কিন্তু সেগুলো ব্যাপক কার্বন নির্গমনও ঘটায়৷

https://p.dw.com/p/4nStp
ডাইমলার কোম্পানির ই-ট্রাক
একইধরনের ডিজেল মডেলের তুলনায় ই-ট্রাকগুলোর গতি বেশিছবি: Daimler Truck AG

ব্যাটারিচালিত ইলেক্ট্রিক ট্রাক এই সমস্যা কিছুটা দূর করতে পারে৷ কিন্তু ই-ট্রাক কি দীর্ঘ পথের ধকল সামলাতে পারবে?

ডেলিভারির কাজে বেরিয়েছে ই-একট্রোস ৬০০ ডাইমলার ট্রাক৷ এটি প্রথম ট্রাক, যেটি একবার চার্জ নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার চলতে পারে৷ স্টেভ এঙ্গেলমান ইউরোপের অন্যতম বড় রিসাইক্লিং এন্টারপ্রাইজ রিমন্ডিসের জন্য ট্রাকটি পরীক্ষা করছেন৷

ডিপোতে রাতের বেলা ব্যাটারিটি পুরোপুরি চার্জ দেয়া হবে৷ এজন্য ছয় থেকে আটঘণ্টা লাগবে৷ রিমন্ডিস গ্রুপের আড়াইশোর মতো ই-ট্রাক রয়েছে৷ কিন্তু এটি সবচেয়ে বেশি দূরে যেতে পারে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, ৫০০ কিলোমিটার অবধি কি যেতে পারে?

রিমন্ডিসের ফ্লিট ম্যানেজার স্টেভ এঙ্গেলমান বলেন, ‘‘মার্সেডিস - ডাইমলার - মজা করেনি৷ কোনো সমস্যা ছাড়াই ৫০০ কিলোমিটার গিয়েছি আমরা৷''

কার্বন নির্গমন কমাতে ব্যাটারিচালিত ট্রাক

সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে রিচার্জ করায় ট্রাকগুলোকে প্রায় কার্বন নিরপেক্ষ বলা যেতে পারে৷ কিন্তু চালকদের কাছে রাস্তায় এগুলোকে রিচার্জ করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার৷ কারণ তারও ঘরে যেতে হবে৷

দ্রুত রিচার্জ করতে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ এবং হেভি ডিউটি চার্জারের দরকার৷ সেক্ষেত্রে বিশ মিনিটেই বিশ থেকে আশি শতাংশ চার্জ দেয়া সম্ভব৷ কিন্তু এরকম মেগাওয়াট চার্জিং সিস্টেম যথেষ্ট নেই এখনো৷  

রিমন্ডিসের জাসা হিংকে বলেন, ‘‘আমাদের বড় পরিসরে গণ চার্জিং কাঠামো দরকার৷ নির্মাতারা প্রস্তুত৷ তারা অনেক গাড়ি তৈরি করছেন৷ ধারাবাহিকভাবে কাজ চলছে৷ কিন্তু এজন্য কাঠামো তৈরিতে অনেক কিছু করতে হবে৷''

ডাইমলার ট্রাকের উৎপাদনকেন্দ্র হচ্ছে দক্ষিণপশ্চিম জার্মানি৷ তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক গাড়ি নির্মাতা৷ এখানে টেস্ট ট্র্যাকে ই-ট্রাকটিকে নানা গতিতে যাচাই করা হচ্ছে৷ কয়েকশত বিশেষজ্ঞ আট বছর খরচ করে তৈরি করেছেন৷ প্রকল্পটির পরিচালক মিশায়েল ভল্ফ৷

ই-ট্রাকটির খুচরা মূল্য আড়াই লাখ ইউরো, যা ডিজেলচালিত মডেলের তুলনায় এক লাখ ইউরো বেশি৷ ডাইমলার মনে করছে উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়লে দাম কমবে৷ ঘন্টায় এটির সর্বোচ্চ গতি আশি কিলোমিটার৷ জার্মানির মহাসড়কে ট্রাকের স্পিডলিমিটও এটা৷  

এটির রাডার ডিস্টেন্স সেন্সর এবং অভিনব মিরর ক্যামেরা রয়েছে৷ তিনটি ব্যাটারিপ্যাকসহ ওজন সাড়ে চার মেট্রিক টন এবং আউটপুট ৬০০ কিলোওয়াট৷   

একইধরনের ডিজেল মডেলের তুলনায় ই-ট্রাকগুলোর গতি বেশি৷ অন্যান্য উৎপাদনকারীরাও তাই আগ্রহী হচ্ছে৷ ডাচ নির্মাতা ডিএএফ-এর ই-ট্রাক প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার যেতে পারে৷ 

সুইডেনের স্ক্যানিয়া ই-ট্রাক যেতে পারে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার, এবং ম্যানের ২০২৫ সালের মডেলের ব্যাপ্তি হবে ৪০০ কিলোমিটার৷

রিমন্ডিস বেশ কিছুদিন আগে ই-ট্রাক বাজারে ছাড়ে৷ প্রতিষ্ঠানটির জন্য এটা ভালো উদ্যোগ ছিল৷ জাসা হিংকে বলেন, ‘‘আমার ডিপোতে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ এবং শুল্ক অব্যাহতি ডিজেলের বিপরীতে দুটি সুবিধা৷ এবং আমি লম্বা দূরত্বে চালালে এগুলোর সুফল মেলে৷''  

২০২৪ সালের শুরুর দিকে জার্মানি ই-ট্রাক কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাতিল করে৷ তার অনেক আগেই অবশ্য ডিজেল ট্রাকের মহাসড়ক ব্যবহারের শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে যাতে ই-ট্রাকের কদর বাড়ে৷ এতে অবশ্য বিরক্ত জার্মানির ট্রাক শিল্প৷  

ট্রাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ই-ট্রাকের বিক্রি বাড়াতে জার্মানিকে আবারো ভর্তুকি চালু করতে হবে৷ তবে একইসঙ্গে এসব ট্রাকের দূরত্ব অতিক্রমের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে৷ এক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে আছে নির্মাতারা৷  

প্রতিবেদন: ক্রিশ্চিয়ান প্রাইসেলিয়াস/এআই