কলকাতায় পালিত বাংলাদেশের বিজয় দিবস
প্রতিবছর বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করে ভারতীয় সেনা। বাংলাদেশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়।
কলকাতায় বিজয় দিবস পালন
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যকারী ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা। সেই দিনটিকেই ‘বিজয় দিবস’ হিসাবে উদ্যাপন করে বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনাও এ দেশে পালন করে ওই দিনটি।
ফোর্ট উইলিয়মের অনুষ্ঠান
প্রতি বছরই ফোর্ট উইলিয়ামে এই দিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারেও আয়োজিত হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা এবং তাদের পরিবার।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা
বিজয় দিবসের আগের দিন, ফোর্ট উইলিয়মে সংবর্ধনা দেওয়া হল ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিশেষ সম্বর্ধনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশের সাবেক নৌ-অফিসারের বক্তব্য
বাংলাদেশ নেভির অবসরপ্রাপ্ত লেফটন্যান্ট কম্যান্ডার মহম্মদ আব্দুল মুতালেফ জানান, ভারতের এই আতিথেয়তায় তারা ভীষণ খুশি। ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ে তাদের কলকাতা থেকে পদ্মা এবং পলাশী নামের দুটি জাহাজ দেয় এবং মান্ডার মহম্মদ মুতালেফ পলাশী নামক জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ইন্দিরার সহযোগিতা
মহম্মদ কামাল পাশা জানান, ''ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সক্রিয় সহযোগিতা না থাকলে আমরা মুক্তি যুদ্ধ লড়তেই পারতাম না।'' বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলকাতায় ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিব ব্রিগেজ প্যারেড গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের মানুষ খুশি
মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এসেছেন তাদের পরিবারের মানুষও। এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তারাও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে তারা আনন্দিত।
সেনার প্রদর্শনী
ওইদিন বিকেলে সেনার আরসিটিসি ময়দানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন কর হয়। তাতে অংশ নেন সেনার জওয়ান ও অফিসাররা। তারা তাদের বিভিন্ন দক্ষতার পরিচয় দেন।
বাংলাদেশের অতিথিরা
বর্ণাঢ্য সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিরাও। ছিলেন কলকাতায় ইস্টার্ন কম্যান্ডের কর্তারাও।
সেনার বাইকবাহিনী
ভারতীয় সেনার এই বাইকবাহিনীর প্রদর্শন ছিল চমকপ্রদ। গোটা সাতেক বাইকের উপর পিরামিড গড়েছিলেন সেনা জওয়ানরা। তাদের বিভিন্ন ফর্মেশন দেখে উপস্থিত দর্শকদের তাক লেগে যায়।
প্যারাশুট করে
প্যারাশুটে করে হেলিকপ্টার থেকে মাটিতে নামেন সেনারা। ভারতীয় সেনার এই প্যারাশুট বাহিনীও অসম্ভব দক্ষ। যুদ্ধের প্রয়োজনে তাদের প্যারাশুট করে নির্দিষ্ট জায়গায় নামতে হয়। তারা সেই দক্ষতার পরিচয় রাখলেন এই অনুষ্ঠানে।
খেলা দেখায় ‘মিলিটারি টাট্টু’
এই অনুষ্ঠানে আরেকটি আকর্ষণ ছিল সেনার ঘোড়সওয়ারেরা। মিলিটারি টাট্টু নিয়ে তারা নানারকম কসরত দেখান।
হেলিকপ্টার-মহড়া
বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। তারা বিবিন্ন রকম মহড়া করে দেখায়।
আকাশ থেকে মাটিতে
হেলিকপ্টার থেকে দড়ি বেঁয়ে নিচে নামেন সেনারা। এটাও তাদের যুদ্ধের প্রয়োজনে শিখে রাখতে হয়। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা এই কাজেও খুবই দক্ষ।