কলকাতায় চাকরির জন্য বিক্ষোভ
কলকাতা হলো বিক্ষোভের শহর। হাজারো দাবি নিয়ে অসংখ্য বিক্ষোভ হয়েছে ও হচ্ছে এখানে। চাকরির দাবিতে সাম্প্রতিক কিছু বিক্ষোভ নিয়ে এই ছবিঘর।
শিক্ষকের চাকরির দাবিতে
২০১৬ সালে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তারা। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাকরির পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েও চাকরি হয়নি। কম নম্বর যারা পেয়েছে, তাদের চাকরি হয়েছে। তাই কলকাতায় গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।
নারী বিক্ষোভকারী
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই নারী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে খোলা আকাশের নীচে চলছে তাদের অবস্থান-বিক্ষোভ।
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের বিক্ষোভ। বিক্ষোভস্থলেই শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। তারা চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন। ভালো নম্বর পেয়েছেন। তাও চাকরি পাননি দুর্নীতির জন্য। তারা সেই চাকরি চান।
গান্ধী মূর্তির কাছে
গান্ধীজির মূর্তির কাছেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। গান্ধীজির দেখানো অহিংস পথেই তাদের বিক্ষোভ।
মমতাও করেছিলেন
গান্ধী মূর্তির কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধানসভা ভোটের আগে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে। তিনি চেয়ারে বসে শুধু ছবি এঁকেছিলেন। এখন তার সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে গান্ধী মূর্তির পাশে বসে।
পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভ
দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। কিছুদিন আগে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের বিক্ষোভে চারজন শিক্ষিকা বিষ পর্যন্ত খেয়েছিলেন। সরকার তাদের বেতন বাড়ানোর কথা বললেও, তাদের স্থায়ী নিয়োগের দবি মানেনি। আন্দোলন চলবে বলে জানাচ্ছন তারা। উপরের ছবিটি অতীতে পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভের।
নার্সদের বিক্ষোভ
সম্প্রতি নার্সদের বিক্ষোভ দেখেছে কলকাতা। বেতন পরিকাঠামো নিয়ে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। তাছাড়া সমান কাজের জন্য সমান বেতন, বদলির ক্ষেত্রে অনিয়ম সহ নানা দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখান।
হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নার্সরা বিক্ষোভ বন্ধ রেখেছেন। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মন্ত্রী ও সচিবরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছেন। আদালত এক মাস দেখবে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন বিক্ষোভ বন্ধ রাখতে হবে।
অপেক্ষায় নার্সরা
নার্সরা এক মাস অপেক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের জন্য তারা অপেক্ষা করবেন। দরকার হলে পরে আবার রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা।