করোনার চাপে আত্মহত্যা জার্মান মন্ত্রীর?
৩০ মার্চ ২০২০বিশ্ব পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকেরা কতোটা অসহায় তাই কি চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন জার্মান মন্ত্রী?
জার্মানির হেসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবেই অনুমান করা হচ্ছে৷ সম্ভবত করোনা সংকটের কঠিন অর্থনৈতিক পরিণামই তাঁর এই পদক্ষেপের কারণ৷
জার্মানির হেসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর টোমাস শেফারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে৷ তিনি যদি সত্যি করোনা সংকটের অর্থনৈতিক পরিণাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে তাঁর ব্যক্তিগত আবেগ ও আশঙ্কার আরও গভীরে যেতে হয়৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফল্কার বুফিয়ে অন্তত এমনটাই মনে করছেন৷ শনিবার রেললাইনের উপর তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ একটি সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী তিনি এক বিদায়বার্তা রেখে গেছেন৷ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবেই বিবেচনা করছে৷
বিশ্বব্যাপী অভূতপূর্ব এক সংকট ও সেই সংকটের মারাত্মক অর্থনৈতিক প্রভাবের সামনে রাজ্য স্তরের এক মন্ত্রীর কী বা করার থাকতে পারে? জার্মানির ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক প্যাকেজ কার্যকর করছে৷ অন্য সব রাজ্যের মতো হেসে-ও সোমবার থেকে সেই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর শুরু করছে৷ তা সত্ত্বেও অর্থমন্ত্রী হিসেবে টোমাস শেফার সম্ভাব্য আশ্বস্ত হতে পারেননি৷ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি কল্পনা করেছিলেন, যার ফলে তিনি আর জীবনের উপর ভরসা রাখতে পারেননি৷ সেই সংকট থেকে উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনাও তিনি হয়তো দেখতে পাননি৷
ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন টোমাস শেফার? ৫৪ বছর বয়সি এই ব্যক্তি গত ১০ বছর ধরে হেসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ছিলেন৷ স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি বিডেনকফ শহরে বসবাস করতেন৷ এমনকি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ফল্কার বুফিয়ে-র সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর নাম উঠে এসেছে৷ গত বুধবার তিনি করোনা সংকটের মোকাবিলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের আপদকালীন বাজেট পেশ করেছিলেন৷ বুফিয়ে বলেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শেফার সেই চ্যালেঞ্জ সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ এমন কঠিন মুহূর্তে তিনি শেফারের অভাব আরও বোধ করছেন৷ বুফিয়ে বলেন, আন্তরিক, কর্মঠ ও দক্ষ রাজনীতিক হিসেবে তিনি এমনকি অন্যান্য দলেরও সমীহ আদায় করেছেন৷
এসবি/কেএম