1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আবারও বিধিনিষেধের পরামর্শ

১৬ জুন ২০২২

করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ‘কোভিড নেগেটিভ' সনদ ও টিকা সনদ বাধ্যতামূলক এবং ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস' আবার চালুর পরামর্শ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির৷

https://p.dw.com/p/4CltT
প্রতীকী ছবিছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা জনসমাগম বর্জন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা এবং ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস' নীতি আবার চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন৷ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বুধবার কমিটির ৫৮তম সভা থেকে সরকারের কাছে এসব সুপারিশ রাখা হয়েছে৷

তিন মাস পর বুধবার করোনাভাইরাসেদৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার দুই শতাধিক৷ পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হারও দুদিন ধরে তিন শতাংশের বেশি থাকছে, যা টানা কয়েক সপ্তাহ এক শতাংশের নিচে ছিল৷

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করে সরকার৷ সংক্রমণ কমে আসায় সম্প্রতি ওই বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছিল৷

গত ৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, পূর্ণ দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে বাংলাদেশে আসতে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ লাগবে না৷ কিন্তু ওই ছাড় এখন আর নিরাপদ হবে না বলে মনে করছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি৷

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এবং উপধরনে সংক্রমণের হার বেশি, সেসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে মনে করছে কমিটি৷

"এজন্য বিমান, স্থল ও নৌ বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ বিশেষ করে অধিক আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে৷ সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে৷”

জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি বলছে, সর্দি-কাশি হচ্ছে এমন ব্যক্তিরা এখন কোভিড পরীক্ষা না করানোর ফলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে সংক্রমণ বাড়ছে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানায়, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে৷ গত জানুয়ারিতে করোনভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের দাপটের মধ্যে দৈনিক পরীক্ষা ছিল ৫০ হাজারের কাছাকাছি৷ 

করোনাভাইরাসের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ এখনও যারা নেননি, তাদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করা, এবং  ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকা দিতে নাইট্যাগ এর পরামর্শ অনুসরণ করার সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি৷

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু করার পর এ বছরের ১৬ জুন পর্যন্ত ১২ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষ কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন৷ তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ৷ তাদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য