1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঙ্গোর সাহসী মোটরবাইক চালক নারী

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্যান্ট পরে আর কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কঙ্গোর বেনি শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মোটর বাইক চালান ইমেলডা মাম্বু৷ এখন আর তার সন্তাননদের ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যেতে হয় না৷

https://p.dw.com/p/3iqXC
ছবি: STRINGER/Reuters

দশ বছর আগে মাম্বুর কৃষক স্বামী মারা যান৷ ছয় সন্তানের মা মাম্বুকে বেঁচে থাকার জন্য নতুন পথ খুঁজে বের করতে হয় ৷ মাম্বু যে শহরে বাস করে সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন৷ তাদের আয় দিনে ১.৯০ ডলারের চেয়েও কম ৷ এই পরিস্থিতিতে উপায়ান্তর না দেখে মাম্বু তার জমানো টাকা দিয়ে শহর থেকে বোডা নামে পরিচিত লাল রংয়ের একটি মোটর বাইক কিনে ফেলেন এবং সাথে সাথেই সেটা চালানো শুরু করে দেন ৷

কঙ্গোতে দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ও অরাজকতার শেষ হয় ২০০৩ সালে ৷ বর্তমানে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিদের তৎপরতা রয়েছে৷ ২০১৮ সালে রয়টার্স ফাউন্ডেশনের করা এক জরিপ অনুযায়ী নারীদের জন্য বিপজ্জনক শীর্ষ দশটি দেশের একটি কঙ্গো ৷ জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, দেশের পূর্বাঞ্চলে গত বছর যৌন নির্যাতনের ঘটনা শতকরা ৩৪ ভাগ বৃদ্ধি পায় ৷  

DR Kongo Frau fährt Motorradtaxi in Beni
ছবি: STRINGER/Reuters

এমন এক জায়গাতেই মাম্বুর মতো একজন নারী মোটরবাইক চালিয়ে যাত্রীদের মন জয় করেছেন৷ মাম্বু বলেন, ‘‘শহরের বাইরে একবার মোটর বাইক চালাতে গিয়ে লাল পোশাকধারী এক ডাকাতদলের পাল্লায় পড়েছিলাম, যারা আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিল৷ পরে অবশ্য তারা আমার মোটরবাইক দেখে খুবই অবাক হয় এবং আমাকে যেতে দেয়৷’’

ব্যবসার শুরুতেই সৌভাগ্যক্রমে মাম্বু কয়েকজন যাত্রী পেয়ে যায়, যারা তার বাইকে নিয়মিত যাতায়াত করেন৷ মাম্বু বলেন, ‘‘এখন আর আমার বাচ্চাদের না খেয়ে ঘুমোতে যেতে হয় না!’’

‘‘মায়ের মোটর বাইকে আয় করা অর্থ দিয়ে আমরা খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব কিছুই করতে পারি এখন” একথা জানায় মাম্বুর মেয়ে নিমা মান্ডেফু৷

এনএস/এসিবি (রয়টার্স)

২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...