1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হালের ক্রিকেট এবং পাটের চা

২৪ জানুয়ারি ২০২১

কোনো দেশ কি এখন আর হাফপ্যান্ট পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে? একসময় খেলতো৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কি এখন আর নিয়মিত মুগ্ধ করে? এক সময় কিন্তু খু-উ-উ-ব করতো৷

https://p.dw.com/p/3oLdE
কোনো দেশ কি এখন আর হাফপ্যান্ট পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে? একসময় খেলতো৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কি এখন আর নিয়মিত মুগ্ধ করে? এক সময় কিন্তু খু-উ-উ-ব করতো৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

শুধু মুগ্ধই করবে কেন, আতঙ্কও ছড়াতো! 

এক বুড়ির আতঙ্কের কথা বলি৷

ইংলিশ কাউন্টিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের খেলা থাকলেই নিজের ঘরে ভয়ে সিঁটকে থাকতেন সেই বুড়ি৷ বিশেষ করে ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা লোকটা যখন ব্যাট করতেন, বুড়ি মাঠের দিকের জানালা থেকে সরে যেতেন ভয়ে৷ লোকটা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের ব্যাট দিয়ে বল পেটায়৷ এবং সে কী পেটানো, এত দূর থেকেও বল উড়ে এসে পড়বি তো পড় সেই বুড়ির জানালার কাঁচে৷ জানালার কাঁচ আর নিজের প্রাণ বাঁচাতে হ্যাসলিংডনের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নালিশও করেছিলেন৷ পরে কী হয়েছিল তা অবশ্য জানা নেই৷ মাঠ বা বাড়ি তো আর সরানো যায় না, ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির দেহই হয়ত একটু মায়া করে বল পেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷

ওই ৬ ফুট ৫-ও একবার ভীষণ গাড্ডায় পড়েছিলেন৷ 

১৯৭৬ সাল৷ ৬ ফুট ৫ তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক৷  ভারতের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেন টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষদিকে মনে হলো এবার ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ভারতকে ঝটপট অলআউট করে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করা দরকার৷ 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন অনেক ম্যাচই বিনোদনের জন্য খেলে এবং মাঝে মাঝে প্রায় জেতা ম্যাচ হেরেও যায়৷ 

আট বছর আগে ৬ ফুট ৫ নিজে দেখেছিলেন অদ্ভুতভাবে হেরে যাওয়া একটা ম্যাচ৷ ইতিহাসে (তখন পর্যন্ত) কেউ কোনোদিন যা করেনি, সেবার স্যার গ্যারি সোবার্স ঠিক তা-ই করেছিলেন স্রেফ টেস্ট ম্যাচের শেষ দিনের দর্শকদের সুন্দর ক্রিকেট উপহার দিতে৷ নইলে কেউ এক ম্যাচে দু'বার ইনিংস ডিক্লেয়ার করে! 

সোবার্স তা করেছিলেন৷ প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের লিড থাকায় দুই উইকেটে মাত্র ৯২ রান তুলেই ছেড়ে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় ইনিংস৷ শেষ দিনে গিয়ে ম্যাচটা ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র হবে, দর্শকরা গোমড়া মুখে ঘরে ফিরবে স্যার গ্যারি সোবার্স তা মানতে পারছিলেন না৷ তাছাড়া নিজের দলের বোলারদের ওপর খুব ভরসাও তার ছিল আর ছিল জিওফ বয়কট, কাউড্রেদের ধীর লয়ের ব্যাটিংয়ের প্রতি প্রচ্ছন্ন তাচ্ছিল্য৷ কিন্তু তিন ঘণ্টার একটু কম সময়ে ২১৫ রান তাড়া করে ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড৷ 

সোবার্সের ৭ উইকেটে ৫২৬ রানে প্রথম ইনিংস এবং ২ উইকেটে মাত্র ৯২ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ওভাবে ম্যাচ হেরে যাওয়ার ঘটনাটি ৬ ফুট ৫-এর খুব মনে ছিল৷ তাই প্রথম ইনিংসে (৩৫৯) ভিভ রিচার্ডসের ১৭৭ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে (২৭১/৬ ডিক্লে.) অ্যালভিন কালিচরনের হার না মানা ১০৩ রানের সুবাদে ভারতকে ৪০৩ রানের জয়ের লক্ষ্য দিয়ে মনে হয়েছিল নিশ্চিন্তে ম্যাচ জেতা যাবে৷ জিতলে ৫ বছর আগে অভিষেক সিরিজেই যে সুনিল গাভাস্কার ৭৭৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন, তারও প্রতিশোধ নেয়া হয়ে যাবে৷

কিন্তু হলো উল্টোটা৷ বাজে বোলিংয়ের ষোল আনা ফায়দা তুলে গাভাস্কার আর বিশ্বনাথ অতি আরামে সেঞ্চুরি করলেন৷ ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিলো ভারত! 

৬ ফুট ৫-কে কেন সবাই ‘বিগ ক্যাট' ডাকতেন দলের বোলাররা সেদিন আরেকটু ভালো করে বুঝতে পেরেছিলেন৷ বার্নার্ড জুলিয়ান, মাইকেল হোল্ডিং, আলবার্ট প্যাডমোর, ইমতিয়াজ আলী আর রাফিক জুমাদিনকে সে কী ধমক,  ‘‘জেন্টলম্যান, আমি চারশ'রও বেশি রান দিলাম ওদের অলআউট করতে, তা-ও পারলে না! ১০ উইকেট নেয়ার জন্য ভবিষ্যতে তোমাদের কত রান দিতে হবে একটু বলে দাও তো!’’

Ashish Chakraborty
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/T. Mehedi

আগের মৌসুমে পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ডেনিস লিলির বাউন্সারে চোয়ালের ব্যথাটা যেন ফিরে এলো৷ ব্যথা সয়ে সিরিজে নিজে ৪৬৯ করেও ৫-১-এ সিরিজে হার এড়াতে না পারা ছিল ভীষণ কষ্টের৷ হেরে গেলে সমর্থকদের দিকে তাকাতেও কষ্ট হয় তার৷ বিশেষ করে ইংল্যান্ডে প্রবাসী ক্যারিবীয়দের মুখগুলো দেখে মাথাটা নুয়ে আসে হেরে যাওয়া ক্যারিবীয় অধিনায়কের৷ 

৬ ফুট ৫ তো জানেন, কিছু বর্ণবাদী ইংরেজ সারাবছর শুধু গায়ের রঙের কারণে ক্যারিবীয়দের কতটা যাতনায়, কতটা অপমানে রাখে৷ জন্মভূমির একটা জয় শত অপমান সয়েও মাটি কামড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে পড়ে থাকা মানুষগুলোকে কী সুখ যে দেয়! জয়ের পরের সকালে ট্রেনে, ট্রামে, বাসে তারাই যেন রাজা৷ সাদা সাদা বিষন্ন মুখগুলোর দিকে তাকাতে বড় বেশি ভালো লাগে সেদিন৷ এমন একটা সকালের জন্য কত মাস, কত বছর যে অপেক্ষায় কাটে প্রবাসী ক্যারিবীয়দের!

‘বিগ ক্যাট' ঠিক করলেন ইতিহাসের চাকা উল্টো ঘোরাবেন৷ এখন থেকে গতির ঝড়ে ওড়াতে হবে প্রতিপক্ষকে৷ ডেনিস লিলি, জেফ টমসন, লেন পাসকোদের অস্ট্রেলিয়ার মতো;  কিংবা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর আক্রমণে ত্রাস ছড়াতে হবে ব্যাটসম্যানদের মনে, লণ্ডভণ্ড করতে হবে প্রতিপক্ষের শিবির৷ দলে থাকবে অন্তত চারজন ভীতিকর ফাস্ট বোলার৷ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে চলবে বাউন্সারের গোলা ৷ প্রতিপক্ষকে একটুও স্বস্তিতে রাখা যাবে না৷ দেয়া যাবে না ন্যূনতম বিশ্রাম৷ 

সুতরাং খুব বেশি দরকার ছাড়া একটাও স্পিনার থাকবে না দলে৷ 

ব্যাস, নিজের কাজিন ল্যান্স গিবসের ক্যারিয়ার দেশের পক্ষে তখনো সবচেয়ে বেশি (৩০৯) উইকেট নিয়েও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরেই শেষ৷ আর একটা টেস্টও খেলা হলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সেরা স্পিনারের৷ 

বাকিটা ইতিহাস৷  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দীর্ঘতম, উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের সূচনার ইতিহাস৷ সেই ইতহাসের প্রধান রূপকার সেই ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির ক্লাইভ হুবার্ট লয়েড৷ ভারতের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনের ওই হারের পরও ৫৭ টি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ছিলেন ‘বিগ ক্যাট'৷ ওই ৫৭ টেস্টে জয় ছিল ৩০টি আর হার মাত্র চারটি৷ 

ভারতের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনের পরের টেস্টটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছিল চারজন ফাস্ট বোলার নিয়ে৷ মাইকেল হোল্ডিং, ওয়েন ড্যানিয়েল, বার্নার্ড জুলিয়েন আর ভ্যানবার্ন হোল্ডারের বাউন্সারে প্রথম ইনিংসে আহত হন তিন ভারতীয় ব্যাটসম্যান৷ ৬ উইকেটে ৩০৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ভারত৷ পরের ইনিংসে আরো শোচনীয় অবস্থা৷ ৫ উইকেটে ৯৭ রান তোলার পরই ইনিংসের ইতি টানেন অধিনায়ক বিষান সিং বেদী৷ মাত্র ১৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো উইকেট খোয়াতে হয়নি৷ ক্যারিয়ারের বাকি দিনগুলোতে এই কৌশলেই সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করেছেন ক্লাইভ লয়েড৷

তার সময়ে ওয়ানডেতেও সেরা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম দুটো আসরে তারাই তো চ্যাম্পিয়ন! ১৯৭৫-এ প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালের জয়টা এসেছিল বাঁ হাতি লয়েডের ৮৫ বলে ১০২ রানের ইনিংসের সুবাদে৷ ৭৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর ৮৩-তে হ্যাটট্রিক শিরোপাও হয়ে যেতো৷ আত্মবিশ্বাসী ভারতের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়ায় সেই যে শিরোপা হাতছাড়া হলো, তারপর আর বিশ্বকাপের ফাইনালেই উঠতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷

Cricket World Cup Gewinner 1975 Westindien
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ট্রফি৷ছবি: Imago Images

বয়স ততদিনে ৩৯ হয়ে গেছে৷ ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির শরীর বলছিল এবার বিদায় বলতে হবে৷ শেষ সিরিজটা জিততে চেয়েছিলেন ৫-০ ব্যবধানে৷ অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অজিদের হোয়াইট ওয়াশ করার সেই লক্ষ্য অপূর্ণ থাকলেও অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১-এ হারিয়েই খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন ক্লাইভ হুবার্ট লয়েড৷

লয়েড-যুগ শেষেও দ্যুতি ছিল ক্যারিবীয় ক্রিকেটে৷ অ্যান্ডি রবার্টস, কলিন ক্রফট বিদায় নিলেও ব্যাটসম্যানদের মনে কাঁপন ধরাতে মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, ম্যালকম মার্শালরা তো ছিলেন! সেই ধারাবাহিকতায় পরে কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোস, প্যাট্রিক প্যাটারসন, ইয়ান বিশপরাও এসেছেন৷ কিং রিচার্ডসের রাজত্ব শেষের কাছাকাছি সময়ে গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হেইন্সরা বিদায় নিলেও কার্ল হুপার, রিচি রিচার্ডসন হয়ে ব্রায়ান লারার ব্যাটও মুগ্ধতা ছড়িয়েছে অনেক৷ তবে ক্যারিবীয় ক্রিকেটে ভাটার টানটাও খুব স্পষ্ট হচ্ছিল ধীরে ধীরে এবং ক্লাইভ লয়েড তা বুঝতে পেরেছিলেন৷ বুঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্চে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিঠি লিখে৷ পাত্তা দেয়নি বোর্ড৷ অস্ট্রেলিয়ার মতো অ্যাকাডেমি গড়ে ক্রিকেট প্রতিভা তুলে এনে পাইপলাইন চালু রাখার পরামর্শটা খুব অপছন্দ হয়েছিল বোর্ডের৷ তাই পাল্টা চিঠিতে জানিয়েছিল, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবাই অনুসরণ করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাউকে অনুসরণ করে না৷’’

১৯৭৯ বিশ্বকাপ যখন লয়েডের হাতে ওঠে ওই সময়টায় আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখতো বাংলাদেশ৷ হাফপ্যান্ট পরে পাপুয়া নিউগিনির খেলোয়াড়রাও মাঠে নামতেন সেই স্বপ্ন নিয়ে৷

সেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে যতটা এগিয়েছে প্রায় ততটাই পিছিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ এমনকি পাপুয়া নিউগিনির উন্নতির গ্রাফটাও চোখে পড়ার মতো৷ আইসিসির সহযোগী দেশটি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে অন্যদের মতো ট্রাউজার পরেই৷

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজও অবশ্য বেশ সমীহ জাগানো দল৷ তবে ক্লাইভ লয়েড জানেন, ক্রিকেটে সুপারপাওয়ার তারাই, যারা টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন আঙিনাতেও দাপুটে৷ আর সেই জায়গাতেই ওরেল, উইকস, ওয়ালকট, সোবার্স, কানহাই, হল, গিবস,  লয়েড, রিচার্ডস, রবার্টস, হোল্ডিং, গ্রিনিজ, হেইন্স, গার্নার, ক্রফট, মার্শাল, ওয়ালশ, অ্যামব্রোস, হুপার, রিচার্ডস, লারাদের উত্তরসুরিরা অতি দুর্বল৷

বাংলাদেশ সফরে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাস্তানাবুদ হতে পারে- এই আশঙ্কা পেয়ে বসেছে লয়েডকেও৷ আনকোরাদের নিয়ে গড়া দলটাকে চাঙা করতে তাই একটা চিঠি লিখেছেন ‘বিগ ক্যাট’৷ চিঠির মূল কথা, ‘‘তোমাদের মতো আমিও হঠাৎ করেই সুযোগ পেয়েছিলাম টেস্ট দলে৷ ম্যাচ শুরুর ৪৫ মিনিট আগে সিমুর নার্সের আঙুলের চোটের কারণে পড়ে পাওয়া সুযোগটা পেয়ে আমি কিন্তু আর ফিরে তাকাইনি৷ ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জের মানুষদের কথা ভেবে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করো৷ তোমরাও পারবে৷’’

এই প্রেরণায় দু-একজন জ্বলে উঠবেন কিনা কে জানে! তাতে ওয়ানডে তে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানো এবং তারপর টেস্ট সিরিজে মান বাঁচানো সম্ভব হবে কিনা তা-ও সময়ই বলতে পারে৷

একসময় নাকি ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জের নারিকেল গাছ নাড়া দিলেও ফাস্ট বোলার পড়তো! মূল একাদশে সুযোগ না পাওয়াদের নিয়ে গড়া বি টিমেরও সত্যি সত্যিই ছিল অনেক দেশের মূল দলকে হারানো ক্ষমতা৷

কিন্তু হায়, পাট যেমন এক সময় সোনালি আঁশ ছিল, এখন কৃষকের দীর্ঘশ্বাস, অস্তিত্ব রক্ষায় পাট যেমন অন্য পণ্য হয়ে ঘরে ঘরে যাওয়ার আশা ছেড়ে চা হয়ে উঠে আসতে চায় কাপে; ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাও অনেকটা সেরকম৷ 

টেস্ট ক্রিকেটে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড এখন সোনালি অতীত৷ টানা ১১ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে গেছে কবেই৷

টেস্ট ক্রিকেটে সুদিন ফেরানোর আশা প্রায় জলাঞ্জলি দিয়ে ক্যারিবীয়দের মন-প্রাণ নিবিষ্ট শুধুই আইপিএল, বিগব্যাশ, পিসিএল, সিপিএল আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান