1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়াশিংটন সফরে আঙ্গেলা ম্যার্কেল

২৫ জুন ২০০৯

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের পথে যাত্রা করছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, হোয়াইট হাউস-এ এটাই হবে জার্মান চ্যান্সেলরের প্রথম সফর৷

https://p.dw.com/p/IahB
পারস্পরিক সহযোগিতার প্রত্যাশায় ওবামা-ম্যার্কেলছবি: AP

তারপরেও, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকটি লাভজনক হতে চলেছে - এরকম বিশ্বাস অনেকের৷ শুক্রবার সকালে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে তাঁদের মিলিত হবার কথা৷ একান্তে কথা-বার্তার পর একটি সাংবাদিক সম্মেলনেও অংশ নেবেন তাঁরা৷ আর তারপর, হোয়াইট হাউসের সেই বিখ্যাত গোলাপ বাগানে চলবে মধ্যাহ্নভোজন৷ ম্যার্কেল-ওবামার সঙ্গে যোগ দেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনও৷

জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই দুই নেতা বড় দেরিতে মিলিত হচ্ছেন - বিশেষজ্ঞরা একথা বললেও, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার দেখা হয়েছে দু'জনের৷ কথাও হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে৷ কিন্তু, এবারের এই বৈঠকে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে, সেটা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন৷ দৃশ্যত, ডিসেম্বরে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনের আগেই কিয়োটো প্রোটোকলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চান ম্যার্কেল ও ওবামা৷ কিন্তু এ কাজ যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক নীতির পরিবর্তন ছাড়া সম্ভব নয়৷ এ বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা জানি, নয়া মার্কিন প্রশাসন এবং বারাক ওবামা নিজে এই বিষয়টির ওপর খুবই গুরুত্ব আরোপ করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে গঠনমূলক এক ভূমিকা পালন করুক৷

তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের জলবায়ু বিষয়ক আইনটি পরিবর্তনের কথা ভাবছিল মার্কিন কংগ্রেস৷ তাই তাঁর সফরকালেই কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের প্রধান ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ স্বাভাবিকভাবেই, ওবামা-ম্যার্কেলের আলোচনা হবে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা নিয়েও৷ আলোচনা হবে কিভাবে যতো শীঘ্র সম্ভব এই মন্দাবস্থা থেকে বের হওয়া যায় - সেই কৌশলগুলি নিয়ে৷ উল্লেখ্য, জার্মানি বরাবরই মন্দা মোকাবেলায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমালোচনা করে এসেছে৷

তবে এরপরও জার্মান অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে প্রস্তুত ওবামা৷ তাঁর কথায়, আমার এই বন্ধুর সঙ্গে আবার দেখা হবে, এটা খুবই আনন্দের৷ বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ পেতে এবং সোজাসুজি কথা বলতে সবসময়ই আমি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী৷

ম্যার্কেলও কিন্তু প্রশংসা করলেন ওবামার৷ বললেন, গভীর ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা থেকে প্রায়ই আমরা একই মূল্যায়নে পৌঁছে যাই৷ আমার মনে হয়, যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই আমরা অভিন্ন সমাধান খুঁজে পেয়েছি৷ তাই এবার আরো সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি আমি৷ আনন্দের সঙ্গেই৷

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক