‘ডেমোক্র্যাসি অ্যাজ ইউজুয়াল'
১১ নভেম্বর ২০১৬ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত জয়ের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হোয়াইট হাউসের এই সাক্ষাৎ স্পষ্টতই মার্কিন জনগণ তথা বহির্বিশ্বকে আশ্বস্ত করার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে ওবামার তরফ থেকে৷ জয়ের পর তাঁর প্রথম ভাষণেই ট্রাম্প গলা নরম করেছিলেন; এবার হোয়াইট হাউসে তাঁকে দেখা গেল ভব্য ও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হলেও, কেতাদুরস্ত৷ দেড় ঘণ্টার আলাপচারির পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ একটা বড় সম্মান৷'' তিনি ওবামাকে একজন ‘‘খুব ভালো মানুষ'' বলে বর্ণনা করেন৷
ওবামাও দু'জনের মধ্যে ‘‘চমৎকার কথাবার্তার'' কথা বলেন৷ পরে সাংবাদিকদের সামনে ওবামাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দল ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে আমাদের সকলের এখন এক হয়ে কাজ করা, সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করা জরুরি৷'' ট্রাম্পকেও সুবিশেষ সাবধানী ও শ্রদ্ধাপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায়৷ নয়তো এই ট্রাম্পই ইতিপূর্ব বহুবার ওবামা সত্যিই মার্কিন নাগরিক কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন; বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ওবামার সবচেয়ে বড় কৃতীগুলিকে নস্যাৎ করবেন; ওবামাকে মার্কিন ইতিহাসে ‘‘সবচেয়ে অজ্ঞ প্রেসিডেন্ট'' বলে অভিহিত করেছেন৷ ওবামাও ট্রাম্পকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবার জন্য ‘‘অনন্যরকম অযোগ্য'' বলে বর্ণনা করেছেন৷
হোয়াইট হাউসের অন্যত্র দুই ফার্স্ট লেডি, হবু এবং বিদায়ী, তারাও খানিক গল্পগাছা করে নেন৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন ওয়েস্ট উইং-এ তাঁর অফিসে আগামী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে স্বাগত জানাচ্ছেন৷
ওবামা আর ট্রাম্প দৃশ্যত বিশ্বের বিভিন্ন সংকট নিয়ে আলোচনা করেন, বলেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা৷ এছাড়া আগামীতে ওবামা যে জার্মানি, গ্রিস অথবা এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে মিলিত হবেন, সে বিষয়েও তাঁর উত্তরসুরিকে অবহিত করেন ওবামা৷
ট্রাম্প পরে টুইট করেন: ‘ডি.সি.-তে দারুণ দিন কাটল৷ প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রথমবার দেখা হলো৷ সত্যিই খুব ভালো সাক্ষাৎ, চমৎকার রসায়ন৷ মেলানিয়ার মিসেস ও.-কে খুব পছন্দ হয়েছে!' দেশ জুড়ে তাঁর জয় নিয়ে যে প্রতিবাদ চলেছে, সে বিষয়ে কিন্তু ট্রাম্প বিশেষ প্রীত নন৷
ট্রাম্প টুইট করেছেন: ‘সদ্য একটি খুবই মুক্ত ও সফল প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন সমাপ্ত করলাম৷ এখন পেশাদারি বিক্ষোভকারিরা মিডিয়ার প্ররোচনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷ খুবই অন্যায়!'
এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, এপি)